নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বিদ্যালয়ের রড চুরি ; চোরকে মা-বাবার জিম্মায় দেওয়া হলো
রেখা মনি, নিজস্ব প্রতিবেদক
নীলফামারী জেলার কিশোরীগঞ্জ উপজেলার প্রান্তকেন্দ্রে অবস্থিত কিশোরগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের অবকাঠামো নির্মাণের রড চুরি হয়ে গেছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ সদর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ নুর ইসলাম (বাউ)কে রড চুরির বিষয়টি জানান। অক্লান্ত পরিশ্রম করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চোরকে খুঁজে বের করে। কিশোরগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। কিন্তু আনিছুল ইসলাম (কাল্টু) সুযোগ পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পড়ে আবারো সংবাদ পেয়ে স্কুল ২ নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ নুর ইসলাম শনিবার মুশা বটতলা নামক স্থান থেকে কাল্টু চোরকে আটক করে বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নিকট সোপর্দ করেন।
শনিবার বিকাল ৫ টার দিকে চোরকে ধরে কিশোরগঞ্জ বহুমুখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে নিয়ে আসলে তিনি কাল্টুকে তার রুমে বসে রাখে।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদর ইউপি চেয়ারম্যানের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। পড়ে আনিছুল ইসলাম কাল্টুকে জিজ্ঞাসা করে কিছু তথ্য পাওয়া যায়। সে চুরি করা রড গুলো কিশোরগঞ্জ (মুন্সিপাড়া) গ্রামের আব্দুল হাকিম ব্যাপারীর বড় জামাতা নাসির উদ্দিনের কাছে ৪৫ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করে। এবং সদর ইউনিয়নের রুপালী কেশবা গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে বেলালের ভ্যানযোগে রডগুলো নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে।
এ ব্যাপারে ভাংরী ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমি ভাংরীর ব্যবসা করি আমার কাছে যে কেউ বিক্রি করতে পারে। সে যে চুরি করে এনেছে তাতো আমি জানিনা।
পরেসদর ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ, স্কুল কমিটির সভাপতি রশিদুল ইসলাম রশিদ, প্রধান শিক্ষক গোলাম আজম সহ স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে তার মা- বাবার জিম্মায় আনিছুল ইসলাম কাল্টু( ২৮)কে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
এবং স্কুল কমিটির সিদ্ধান্ত নেয়, আগামী দু’দিনে মধ্যে তার সহযোগীদের সহ ধরে বিচার করা হবে। বলে যানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোলাম আজম সদর ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুল ইসলাম আনিছ বলেন, এ বিষয়ে আমি অতকিছুজানি না, বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ওই চোরের বাবা,মায়ের কাছ থেকে অঙ্গীকার নামা নিয়ে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। স্কুল কমিটির সভাপতি রশিদুল ইসলাম রশিদ বলেন যখন আমরা স্কুলের রড চুরির বিষয়ে কথা বলতে শুরু করি।
আশেপাশের লোকজন তাদের ছাগল হারানোর বিষয় নিয়ে বিদ্যালয়ের বিষয়টি ঘোলাটে করছিলো। তাই আমরা স্কুল কমিটি কাল্টু চোরকে তার মা-বাবার কাছে অঙ্গীকার নিয়ে তাকে যেতে দেই। এবং তান পরিবারকে এটা বলা হয় যে, আমরা যখন তাকে নিয়ে আশতে বলবো তারা তাকে অবশ্যই হাজির করবে বলে আশ্বাস দেন।
কিশোরগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ আব্দুল আউয়াল বলেন আমি শোনা মাত্রই সেখানে ফোর্স পাটিয়েছি। পুলিশ যাওয়ার আগেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চোরকে ছেড়ে দিয়েছে। ওই চোরকে ধরার চেষ্টা চলছে ।
Leave a Reply