1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
করোনা থেকে বাঁচতে 'লকডাউন, জীবন বাঁচাতে চাই সুষ্টু পরিকল্পনা 
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নবাবগঞ্জে শ্রমীকলীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি খালের মাটি লুটের অভিযোগ ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম পুঠিয়ায় সাথী ক্লিনিককে ১০ হাজার জরিমানা, সাংবাদিকের হুমকি নড়াইলে মদ্যপানে ১স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু,আরও ১ জন হাসপাতালে ভর্তি

করোনা থেকে বাঁচতে ‘লকডাউন, জীবন বাঁচাতে চাই সুষ্টু পরিকল্পনা 

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৮ জুন, ২০২১, ৯.৫৯ পিএম
  • ১৯৬ বার পঠিত
করোনা থেকে বাঁচতে ‘লকডাউন, জীবন বাঁচাতে চাই সুষ্টু পরিকল্পনা
একান্ত ভাবনা- রফিক তালুকদার, (সংবাদকর্মী)
করোনা ঠেকাতে ‘লকডাউন’।  তাতে করোনার প্রকোপ হয়তো কিছুটা কমলো, কিন্তু  ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষ, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, শ্রমিক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যে ত্রাহি অবস্থা আমরা দেখেছি, তাতে আমাদের এই অর্থনীতি লকডাউনের চাপ কতটা নিতে পারবে তা সত্যিই ভাবনার বিষয়।
শোনা যাচ্ছে লকডাউনে রপ্তানিমুখী শিল্পসহ বেশকিছু জরুরী প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে, ফলে সেইসব খাতে ক্ষতি হবে কম। কিন্তু নানান পণ্য উৎপাদনকারী ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্টান ও  উদ্যোক্তা যারা ঈদসহ নানান উৎসবকে ঘিরে তাদের পণ্য বিক্রয়ের পসরা সাজান, তারা পড়বেন মারাত্মক বিপাকে। সেই সাথে আছে রেস্টুরেন্ট, পরিবহনসহ নানান রকম আইসিটি সম্পৃক্ত সেবা -যারা তাদের কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারবেন না। এই সকল উদ্যোগের সাথে সম্পৃক্ত আছে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক কর্মচারী। এসকল খাতের উদ্যোক্তাদের পক্ষে তাদের শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন কতদিন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব?
বড় বড় উদ্যোক্তাদের যেখানে শ্রমিকের বেতন/পাওনা মেটাতে  সরকারের সাহায্য নিতে হয়, সেখানে এই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কিভাবে তা চালিয়ে যাবেন?
গতবছরের প্রণোদনা প্যাকেজের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে অতি ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের বন্টন হয়েছে খুব ধীরগতিতে। তাতেও আবার অনেক উদ্যোক্তা সেই সুবিধা পাননি। বিশেষ করে যাদের ব্যাংকের সাথে লেনদেন নেই কিংবা যাদের ব্যবসার ক্ষতি অনেক বেশি হয়েছিল সেইসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা কিন্তু এই প্রণোদনার আওতার বাইরেই রয়ে গেছেন।
আবার যারা প্রণোদনার ঋণ সুবিধা পেয়েছিলেন, তারা যদি এখন ব্যবসা-বাণিজ্য করতে না পারেন, তাহলে ঋণের টাকা ফেরত দিবেন কিভাবে, সেটিও চিন্তার বিষয়।
দিনমজুর, রিক্সাওয়ালা, দোকানপাট মার্কেটের কর্মী, দারোয়ান, কুলি, মুচি, ঝালমুড়ি বিক্রেতা -এইসব সাধারন মানুষগুলো কতদিন এভাবে চলতে পারবেন?
এটা পরিস্কার যে,এই লকডাউনের পরেই কিন্তু করোনা বিদায় হচ্ছেনা।
বৈশ্বিক এই মহামারীর সাথে আমাদের চলতে হবে আরও কয়েক মাস কিংবা বছর,  এভাবে দিনের পর দিন লকডাউন থাকলে তার অর্থনৈতিক চাপ সহ্য করা অনেক মানুষের পক্ষেই সম্ভব নয়।
তাই সার্বিক পরিস্হিতি মোকাবেলায় সরকারকে নিতে হবে সুদুরপ্রসারি এক পরিকল্পনা।
যেমন অতি দরিদ্র,খেটে খাওয়া মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য ব্যাবস্হা করতে হবে পুরো বছর জুড়েই, আওতা বাড়াতে হবে খাদ্য  বিতরণেরও।
যেসকল খাতকে লকডাউন এর আওতায়  রাখা হয়েছে অর্থাৎ যারা তাদের ব্যবসা বাণিজ্য কিংবা কাজ করতে পারছেন না তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করতে হবে। এদের মধ্যে যারা ইতোমধ্যে ঋণ নিয়েছেন তা ফেরত দেয়ার সময়সীমা বাড়িয়ে দিতে হবে।
আর যে সকল খাত লকডাউন এর আওতার বাইরে আছে অর্থাৎ যারা তাদের উৎপাদন কাজ চালিয়ে যেতে পারছেন, তাদেরকে আর কোন নতুন প্রণোদনা দেয়া যাবে না।
স্বাস্থ্য বিধি মানার বিষয়ে বাস্তবিক কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে, দরিদ্র মানুষের মধ্যে মাস্ক ও সাবান বিতরণ করতে হবে, স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং এর গুরুত্বের বিষয়ে ব্যাপকভাবে  প্রচার প্রচারণা কর্মসূচি চালিয়ে যেতে হবে,
এতে  স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি যুক্ত করতে হবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও।  আগামী অন্তত ৩মাস কোনভাবেই স্বাস্থ্য বিধি মানার ব্যাপারে শিথিলতা আনা যাবে না, বন্ধ রাখতে হবে সব ধরণের সভা সমাবেশ ও সামাজিক অনুষ্টান সমূহ। এটি পালন করতে পারলে হয়ত সহসাই আবার লকডাউন দেয়ার প্রয়োজন হবেনা।
এদেশে অনেক স্বচ্ছল(বিত্ত্ববান) মানুষ আছেন যারা মাসের-পর-মাস ঘরে থাকতে পারবেন, কোন কাজ না করলেও তাদের জন্য স্বাভাবিক  জীবনযাপনের গতি ধরে রাখতে কোন সমস্যা হবে না।
কিন্তু স্বল্প আয়ের জনগোষ্টির পক্ষে তা কিছুতেই সম্ভব না । সরকারের পাশাপাশি সামর্থ্য অনুযায়ী বিত্ববানদেরকেও এই কঠিন দুঃসময়ে এগিয়ে আসতে হবে। দাঁড়াতে হবে নিম্নমধ্যবিত্তের পাশে।
সর্বোপরি মানুষের জীবন ও জীবিকা বাঁচাতে সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টাকে আরওবৃদ্ধি  ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় এগিয়ে নিতে হবে।
লেখক- সংবাদকর্মী, সমাজকর্মী।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews