নিজস্ব প্রতিবেদক: বিচারিক আদালতের রায়ের পর সাত মাস গেলেও তৈরি হয়নি পেপারবুক। ফলে থমকে আছে আলোচিত হলি আর্টজান মামলার আপিল শুনানি। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা বলছেন এখন আরেক সমস্যা করোনা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মামলার শুনানির চেষ্টা করা হবে।
২০১৬ সালের ১লা জুলাই রাত ৮টা। ঢাকার গুলশানের অভিজাত রেস্তোরায় জঙ্গি হামলা- জিম্মি- দেশি বিদেশি নাগরিকদের হত্যা।
১২ ঘণ্টার কমান্ডো অভিযান। রক্তাক্ত জিম্মি সংকটের অবসান। নিহত হয় ৫ জঙ্গিও।
গেলো বছরের ২৭ নভেম্বর হলি আর্টিজান হামলায় মামলায় নব্য জেএমবির সাত সদস্যের ফাঁসির রায় দেয় ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। একজনে খালাস দেয়া হয়। হামলায় জড়িত মোট ২১ জনের মধ্যে ১৩ জনই আইনশৃংখলাবাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে নিহত হয়েছেন।
পরে সাত মাসেও উচ্চ আদালতে শুরু হয়নি বিচার কাজ। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলছেন, করোনার কারনে মামলাটি দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেয়া যায়নি।
তিনি বলেন, আমরা আগেই পদক্ষেপ নিতাম যদি করোনা মহামারির দুর্যোগ নেমে না আসতো।মহামারি যখন কেটে যাবে, আদালত যখন স্বাভাবিক হবে তখন অবশ্যই এই মামলা তালিকাভুক্ত করার পদক্ষেপ নিব। যতদ্রুত এই মামলার শুনানি করা যায় সেই চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।
এখন ডেথ রেফারেন্স মামলার শুনানির জন্য পেপারবুক তৈরি চলছে সরকারি ছাপাখানা বিজি প্রেসে, বলেছেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার সাইফুর রহমান। তিনি বলেন, এই মামলার পেপারবুকের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে বিজি প্রেসে। লকডাউনের কারণেই আমরা এখনো পাইনি।
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা জানান, পেপারবুক তৈরির পর, রাষ্ট্রপক্ষ অগ্রাধিকারভিত্তিতে মামলাটি শুনানির আবেদন করবে। তবে আসামীরা সকলেই জেল আপিল করেছেন।