সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ফরিদগঞ্জের ১১ গ্রামে ঈদ
আমান উল্লাহ :
প্রতি বছরের মতো এবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১১ টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করা হবে।
২০ জুলাই মঙ্গলবার চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা। দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে বুধবার ২১ জুলাই ঈদ উৎসব পালনের ঘোষণা দেওয়া হলেও এসব গ্রামে ৯১ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে।
গত বছর করোনাভাইরাসের কারণে এসব গ্রামের ঈদগাহে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত না হলেও এবার সকল ঈদগাহে সাস্থবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত করতে ইতোমধ্যেই ঈদগাহে নেওয়া হয়েছে প্রস্তুতি ও।
সাদ্রা দরবার শরিফের বর্তমান পীর মো. আরিফ চৌধুরী জানান, এই দরবারের প্রতিষ্ঠাতা পীর মাওলানা ইসহাক সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা ও ঈদ পালনের রেওয়াজ চালু করেন।
তিনি জানান, ১৯৩১ সাল থেকে সাদ্রা মাদ্রাসায় আমার দাদা এবং তার মৃত্যুর পর আমার বাবা ঈদ জামাতের ইমামতি করেছেন। বাবার মৃত্যুর পর থেকে আমি এর দায়িত্বে রয়েছি।
তিনি বলেন, এ বছর এই বছর করোনাভাইরাসের প্রভাবে ঈদের জামাত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদগাহে, অনুষ্টিত হবে। এখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার ঈদ উদযাপিত হওয়া গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, আইকপাড়া, ভুলাচো,বদরপুর, উটতলী, নুরপুর, কাইতাড়া, সুড়ংগচাল, বাশারাসহ মোট ১১ টি গ্রাম।
জানা গেছে, ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু স্থানীয়দের অসহযোগিতার মুখে তা ভেস্তে যায়। সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে একদিন আগে ঈদ পালনের উদ্যোগ নেওয়ায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে। ওই বছরই নিজ গ্রাম সাদ্রায় ফিরে আসেন তিনি।
ধনী ও প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান মাওলানা ইসহাক ওই বছরই নিজ গ্রামে ফিরে একই উদ্যোগ নিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন। গ্রামের অসহায় ও দুঃস্থদের আর্থিক সাহায্য দিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ সব ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন প্রথা চালু করেন। পরে তিনি দরবার শরীফ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..