চট্টগ্রামের চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় গৃহকর্মীকে মারধরের অভিযোগে নারী চিকিৎসক গ্রেফতার
ইমাম হোসেন জীবন- ক্রাইম রিপোর্টার -চট্টগ্রাম
গত ১৩/০৭/২০ ইং তারিখ হতে তসলিমা আকতার (১৫)বছর বয়সী ঐ কিশোর মাসিক তিন হাজার টাকা বেতনে নির্ধারণ করে ডা. নাহিদা আকতার রেনু( ৩৪) বাসায় কাজ করে আসছিল।
গত বৃহস্পতিবার(২২ জুলাই) আনুমানিক ১১ টা ৩০ মি সময় চট্টগ্রামের চাঁদগাও মোহরা এলাকায় ডা.নাহিদা আকতার রেনুর বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে,নির্যাতনের শিকার তসলিমা আকতারের বাড়ি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায়। তার বাবার নাম আবদুল গণি। গ্রেফতার ডা. নাহিদা চমকে হাসপাতালে কর্মরত আছেন। তিনি চমকে হাসপাতালের ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।বর্তমানে তিনি চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় বি ব্লক এর ১০ নম্বর রোডের একটি প্লাটে থাকেন।
পুলিশ জানায়, ১বছর আগে থেকে ডা. নাহিদার বাসায় কাজনেয় কিশোরী তসলিমা আকতার। বিভিন্ন তাকে নির্যাতন করেন ডাক্তার নাহিদা।গত ১৮ জুলাই তার বাসা পরিস্কার করার সময় টেবিলের নিচে ডা. নাহিদার ব্যবহারিত একটি কাজল পায়।
কাজলটি উঠাইয়া তসলিমার চোখে লাগায়।বাসায় ফিরে নাহিদা তসলিমা চোখে কাজল লাগানো অবস্থায় দেখতে পায় ঠিক তখনি মারধর শুরু করে। এরপর চার থেকে পাঁচ দিন বাসায় আটকে রেখে ভিবিন্ন ভাবে নির্যাতন করে।
এরপর একপর্যায়ে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় ১৩ নং রোডের একটি সেলুনে নিয়ে তসলিমার মাথা ন্যাড়া করে দেয় ক্ষুর দিয়ে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই)তসলিমার বাবা তার মেয়ের সাথে দেখা করতে আসে।সে সময় নাহিদা তার সাথে দেখা করতে দেয়নি। হঠাৎ জানালার ফাক দেখে তার মেয়ে একটি রুমে আটকে রাখা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঘটনাটি চান্দগাঁও থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ অভিযোগের কয়েক ঘন্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে তসলিমা উদ্ধার করে চকমে হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য।অভিযুক্ত ডা. নাহিদা আকতার রেনুকে গ্রেফতার করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি জানান ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত চিকিৎসককে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবার দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।আজ শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠানো হবে।