আব্দুর রাজ্জাক কাজল কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারী প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ছিট পাইকেরছারা ইউনিয়নে এরকম ঘটনা ঘটেছে মর্মে থানায় অভিযোগ করেন বাদী লাভলী বেগম।
অভিযোগ সূত্রে ও বাদী লাভলী বেগম জানায় ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়ন বাগভান্ডারের আব্দুল রহমানের মেয়ে লাভলী বেগমের ৩ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় উপজেলার ছিট পাইকেরছরা ৪ নং ওয়াডের বাসিন্দা নাজিম উদ্দীন এর ছেলে বেলাল হোসেনের সাথে।সংসার জীবনে শুরু থেকেই লাভলী বেগমের স্বামী বেলাল হোসেন বিভিন্ন সময় যৌতুকের টাকা দাবী করে মধ্যযুগীয় কায়দায় শারিরীক নির্যাতন করে আসছিলো।
পরিবারের লোকজন মাঝে মাঝে কিছু করে টাকা দিতো সেই টাকায় মন ভরতো না স্বামীর।এমতাবস্থায় আনুমানিক ২ মাস পূর্বে স্বামীর বাড়িতে থাকা কালিন আবার যৌতুক এর টাকা চেয়ে বসলে আমার পরিবারের লোকজন সেই টাকা না দিতে পারায় আমাকে সেদিন অনেক মারধর করে।শরীরের গোপন জায়গা গুলোতে অমানবিক নির্যাতন চালায় যা প্রকাশ করার মতো না।নির্যাতনের এক পর্যায়ে ব্লেড দিয়ে আমার মাথা ন্যাড়া করে দেয় এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়, জেনো আমি আমার পরিবারকে ঘটনার কোনো কিছু না বলি।ওই ঘটনার পর থেকে আমাকে বাবার বাড়িতে আসতে দিতো না।এ নিয়ে গ্রামে অনেক বার শালিস বৈঠক হয়েছে তাতেও কোনো ভালো ভল হয়নি।
আমার শ্বশুর শ্বাশুরি চুপ মেরে বসে দেখতো আর হাসতো।কখনোই তাদের ছেলেকে শাসন করতো না সায় দিয়ে যেতো।
পরিশেষে ১৭ জুলাই টাকার জন্য আবার মারপিট শুরু করলে আমার ডান হাতে ভীষণ ভাবে লাঠি দিয়ে আঘাত করে যা এখনো আমি হাত নাড়াতে পারি না।আমি নির্য়াতন সইতে না পেরে শেষ পযন্ত ১৭ জুলাই বাবার বাড়িতে চলে আসি।চলে আসার পর বিভিন্ন সময় ফোনে এস এম এস ও হুমকি দিয়ে আসছে আমাকে তালাক দিবে।
এমতাবস্থায় আমার পরিবারের লোকজন আমার উপরে নির্যাতন সইতে না পেরে আমাকে নিয়ে থানায় হাজির হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছে।আইনের কাছে আমি আমার নির্য়াতনের বিচার চাই।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন অভিযোগ করেছে আমরা তদন্ত করে অভিযোগের প্রামান পলে আমরা আইনের ব্যবস্থা নিবো।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..