সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে সিলেটে ‘ভুয়া সাংবাদিকসহ’ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯। যাদের বেশিরভাগই সাংবাদিক সেজে ফেসবুকে বিভিন্ন নামে পেইজ খুলে গুজব রটাতেন।
রোববার (২৫ জুলাই) সিলেটের পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি সোমেন মজুমদার।
রোববার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, গত ২২ জুলাই নিয়মিত সাইবার পেট্রোলিং এর সময় র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটলিয়ন-৯ সিলেটের সাইবার মনিটরিং টিম ‘মুরাদপুর আর্মি ক্যাম্পে আগুন’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা গুজবের প্রচারণা দেখতে পায়। তৎক্ষণাৎ র্যাব-৯ এর সাইবার মনিটরিং টিম র্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের সহায়তায় উক্ত গুজবের ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু করে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে র্যাব-৯ তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ ও অনুসন্ধান সাপেক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা গুজবের প্রচারণার দায় তাদেরকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলাধীন তুরুগাঁও এলাকার (বর্তমানে সিলেট নগরীর মেন্দিবাগ নোয়াগাঁও এলাকার বাসিন্দা) মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মো. আশফাকুর রহমান (৩২), সিলেট মহানগরীর শাহপরান (রহ.) থানার পীরের চক গ্রামের মৃত উস্তার আলীর ছেলে আলা উদ্দিন আলাল (৭৪), গোলাপগঞ্জ থানার মজিদপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে রেজা হোসাইন (২০), গোলাপগঞ্জ থানার আওই বানীগ্রামের মৃত মোবারক আলীর ছেলে সোহেল আহমদ (২৬), গোলাপগঞ্জ থানার বাঘীরঘাট এলাকার মৃত আশাব আলীর ছেলে আবুল কাশেম (৩৫), এসএমপির মোগলাবাজার থানার কুচাই গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে রাজন আহমদ (২৮) ও এয়ারপোর্ট থানার আটপিয়ারি গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে মোক্তার হোসেন মান্না (২৮)।
গ্রেপ্তারকৃতদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরান (রহ.) থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে সিলেটে সেনাবাহিনীর ১৭ পদাতিক ডিভিশনের ১৬ তলা বিল্ডিংয়ে আগুনের গুজব রটনাকারী ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে র্যাব-৯।