যশোরের মা মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনায় বিচার দাবিতে মানববন্ধন
বেনাপোল প্রতিনিধিঃযশোরের মণিরামপুরে চাঞ্চল্যকর তিন বছরের কন্যাসহ অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর আত্মহত্যা ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যাকারীর বিচার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে । মানববন্ধনে পরিকল্পিত হত্যা উল্লেখ করে অভিযুক্ত স্বামী কনার মন্ডলের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পিয়া মন্ডল (২৩) ও তিন বছরের কন্যা সন্তান কথা মন্ডল হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টায় মশিয়াহাটী ডিগ্রি কলেজের সামনে বাজার সংলগ্ন সড়কে নিহতের পরিবার, ইউনিয়নবাসী ও ২০১৪ সালেরএস এস সি ব্যাচের ছাত্রছাত্রীরা মানববন্ধনে বিচার দাবিতে অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত গত ৭ আগস্ট শনিবার মণিরামপুর উপজেলার কুলটিয়া গ্রামের ফাল্গুন মন্ডলের বাড়ির রান্না ঘর থেকে একই দড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় কলেজ শিক্ষক কনার মন্ডলের পাচঁ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পিয়া মন্ডল ও মেয়ে কথা মন্ডলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত গৃহবধূ পিয়া মন্ডলের পরিবারের পক্ষে মামলা করা হয়েছে। পিয়া মন্ডলের ভাই চন্দন মন্ডল বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় ৩০৬ ধারায় মণিরামপুর থানায় মামলাটি করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মণিরামপুরের সুজাতপুর গ্রামের ননি গোপাল মন্ডলের ছেলে মশিয়াহাটি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক কনার মন্ডলের পরকীয়ার বিষয়টি স্ত্রী পিয়া জানতে পারায়. তাকে ও তিনবছরের শিশু কন্যাকেপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। পরে হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করতে মরদেহ দুটি রান্নাঘরে ঝুলিয়ে রাখে। এরপর কনার মন্ডল মাছ ধরার অযুহাতে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ে।
পরে শনিবার রাতে কনার মন্ডলের ভাড়া নেওয়া কুলটিয়া গ্রামের ফাল্গুন মন্ডলের বাড়ির রান্নাঘর থেকে স্ত্রী পিয়া মন্ডল ও একমাত্র কন্যা কথার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এবং ঐ রাতেই কনার মন্ডলকে আটক করে পুলিশ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,মণিরামপুরের সুজাতপুর গ্রামের ননি গোপাল মন্ডলের ছেলে মশিয়াহাটি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক কনার মন্ডলের পরকীয়ার বিষয়টি স্ত্রী পিয়া জানতে পারায় তাকে ও তিন বছরের কন্যাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। পিয়া মন্ডলের পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে পিয়া পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলো।পরিবারের পক্ষ থেকে জানা গেছে পরে হত্যাকান্ডকে আত্মহত্যা বলে প্রচার করতে মরদেহ দুটি রান্নাঘরে ঝুলিয়ে রাখে। ঘাতক কনার মন্ডলকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন মানববন্ধন পালনকারী বক্তারা ও এলাকাবাসী।