নিজস্ব প্রতিবেদক: বনানী কবরাস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান। বুধবার রাত সাড়ে নয়টায় গুলশান সেন্ট্রাল মসজিদে জানাজার পর বনানী কবরস্থানে মেয়ে শাজনীন তাসনিম রহমানের কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
সকাল ১১টার দিকে কুমিল্লায় পৈত্রিক বাড়িতে ঘুমের মধ্যে মারা যান লতিফুর রহমান। সন্ধ্যার পর কুমিল্লা থেকে ঢাকার গুলশানের বাসভবনে পৌঁছায় তার লাশ।
পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও আত্মীয় পরিজন, বন্ধু, গুণগ্রাহীসহ হাজারো মানুষ অংশ নেন তার জানাজায়।
জানাজার আগে লতিফুর রহমানের নাতি যারেফ আয়াত হোসেন সবার কাছে তার নানার জন্য দোয়া চান।
তিনি বলেন, চার বছর আগে এই দিন ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানে সন্ত্রাসী হামলায় আমার ভাই ফারাজ আইয়াজ হোসেন তার জীবন স্যাক্রিফাইস করেছিলেন। এর ঠিক চার বছর পর একই দিনে আমাদের প্রিয় নানাভাই লতিফুর রহমান এ পৃথিবী থেকে চলে গেলেন। আমি সবার কাছে অনুরোধ করব আমার নানাভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন।
লতিফুর রহমান দুই বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন বলে জানা গেছে। আর বেশিরভাগ সময়ই তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাড়িতে থাকতেন।
তিনি এমন দিনে মারা গেলেন, যেদিন তার নাতি ফারাজ আইয়াজ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারাজ হোসেন ২০১৬ সালের ১ জুলাই ঢাকার হোলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহত হন।
লতিফুর রহমান প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার অন্যতম মালিক। এছাড়া আন্তর্জাতিক ফুড চেইন পিৎজা হাট ও কেএফসি, পেপসি এবং ফিলিপসের বাংলাদেশে ফ্রাঞ্চাইজির মালিক ছিলেন তিনি।