1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
কে হচ্ছেন এরশাদের শত কোটি টাকার মালিক
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম পুঠিয়ায় সাথী ক্লিনিককে ১০ হাজার জরিমানা, সাংবাদিকের হুমকি নড়াইলে মদ্যপানে ১স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু,আরও ১ জন হাসপাতালে ভর্তি রাজশাহীতে গোপনে মৃত ব্যাক্তির জমি বিক্রয়ের অভিযোগ

কে হচ্ছেন এরশাদের শত কোটি টাকার মালিক

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০২০, ৮.৫৯ এএম
  • ২৪৭ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তাঁর বিপুল সম্পদের কিছু অংশ নিজের গড়া ট্রাস্টে দান করে গেছেন, কিছু সম্পদ আত্মীয়-স্বজন ও পালিত ছেলে-মেয়েদের মাঝে বিলিবণ্টন করে দিয়েছেন। এখনো তাঁর নামে কয়েক শ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে যা কাউকে লেখাপড়া করে দেওয়া হয়নি। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, এই সম্পদের কী হবে?

এই প্রশ্ন আরো জোরালো হয়েছে এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা সিদ্দিক সম্প্রতি বারিধারার ‘প্রেসিডেন্ট পার্কে’ অবস্থান নেওয়ায়। যদিও তাঁর দাবি, বাবাহারা প্রতিবন্ধী সন্তান এরিককে দেখাশোনার জন্যই তিনি বাসভবনটিতে থিতু হয়েছেন। তবে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে জাতীয় পার্টিসহ এরশাদ অনুসারীদের মাঝে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট পার্কে বিদিশা অবস্থান নেওয়ার পরপরই হঠাৎ করে এরশাদের নিয়োগ দেওয়া পুরনো সব কর্মচারীকে বিদায় করে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টিতে এরশাদের ভাই জি এম কাদের বিরোধী হিসেবে পরিচিতদের নিয়ে পুনর্গঠন করা হয়েছে ‘এরশাদ ট্রাস্ট’।

এরশাদের পরিবার ও তাঁর দল জাতীয় পার্টিসংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছেন, কেবল সন্তানের জন্য প্রেসিডেন্ট পার্কে থাকলে এসব পরিবর্তন কেন? তাঁদের ভাষ্য, ট্রাস্টের বাইরে থাকা এরশাদের বিপুল সম্পদে ভাগ বসাতে বিদিশা তৎপর। এ ছাড়া জাতীয় পার্টির রাজনীতিতেও আসন গেড়ে বসতে চান তিনি।

বিদিশা অবশ্য করোনাকালে এসব বিষয়ে কথা বলতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন। মহামারি-পরবর্তী সময়ে সব প্রশ্নের উত্তর দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল এরশাদ নিজের নামে ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। এতে তাঁর দান করা সম্পদের তালিকায় রয়েছে—বারিধারার প্রেসিডেন্ট পার্ক, গুলশানের দুটি ফ্ল্যাট, বাংলামোটরের একটি দোকান, রংপুরের একটি কোল্ড স্টোরেজ, রংপুরে এরশাদের বাড়ি ‘পল্লী নিবাস’, রংপুর জাতীয় পার্টির কার্যালয় এবং ব্যাংকে রাখা ১০ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট।

ট্রাস্টের অসিয়তনামায় বলা হয়েছে, ট্রাস্টের আয় থেকে তাঁর ছেলে শাহতা জারাব এরিক এরশাদের ভরণ-পোষণের পর উদ্বৃত্ত অর্থ সামাজিক কাজে ব্যয় করা হবে।

ট্রাস্টটি গঠনের সময় এর পরিচালক করা হয় মেজর (অব.) খালেদকে। সদস্য হন এইচ এম এরশাদ নিজে। এ ছাড়া এরিক, এরশাদের চাচাতো ভাই মুকুল ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীরকে সদস্য করা হয়।

এরশাদ তাঁর গুলশান-২-এর বাড়িটি রওশন এরশাদকে দিয়েছেন বহু আগেই। পালিত ছেলে আরমানকে দেওয়া হয়েছে গুলশানের একটি ফ্ল্যাট। রংপুরের সম্পত্তি পেয়েছেন ভাই জি এম কাদের ও ভাতিজা আতিক শাহরিয়ার। কয়েক বছর আগে চলচ্চিত্র পরিচালক শফি বিক্রমপুরীর কাছ থেকে কেনা ঢাকার কাকরাইলে জাতীয় পার্টির প্রধান কার্যালয়টি এরশাদের নামে ছিল। এটি তিনি পার্টিকে দান করে গেছেন।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এর বাইরেও এরশাদের অনেক সম্পদ রয়েছে। ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় হলফনামায় এরশাদ উল্লেখ করেন, তাঁর বার্ষিক আয় এক কোটি আট লাখ টাকা। আয়ের উৎস ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে পাওয়া বার্ষিক সম্মানীর ৭৪ লাখ টাকা এবং বিভিন্ন কম্পানির শেয়ার থেকে পাওয়া সম্মানী। সূত্র মতে, ইউনিয়ন ব্যাংকে এরশাদের ৪০০ কোটি টাকার শেয়ার রয়েছে, যা তিনি কাউকে দিয়ে যাননি। এ ছাড়া রয়েছে গুলশান ও বনানীতে দুটি করে ফ্ল্যাট, সাভারে ৫০ একর জমি, জাপার এক সাবেক মহাসচিবের কাছে ২০০ কোটি, একজন অতিরিক্ত মহাসচিবের কাছে ১৭ কোটি, সাবেক এক ব্যক্তিগত কর্মকর্তার কাছে ৪০ কোটি এবং প্রেস উইংয়ের কাজে জড়িত একজনের কাছে ৩৫ কোটি টাকা গচ্ছিত রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মূলত মেজর (অব.) খালেদের সহযোগিতায় প্রেসিডেন্ট পার্কে প্রবেশ করেন বিদিশা। নিজের মতো করে সাজিয়েছেন ট্রাস্টের পরিচালনা পর্ষদ। পরিচালক করা হয়েছে মেজর (অব.) খালেদকে এবং ফকরউজ্জামান জাহাঙ্গীর ও কাজী মামুনকে করা হয়েছে সদস্য। জাপার রাজনীতিতে এই তিনজনই জি এম কাদেরবিরোধী হিসেবে পরিচিত।

জাতীয় পার্টির একটি সূত্র জানায়, বিদিশার রাজনীতির অভিলাষ পূরণে মাঠে নেমেছেন পার্টির দুই নেতা। তিনি নাকি জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির অতিরিক্ত মহাসচিব পদ চান, পাশাপাশি রাজশাহী বিভাগের দায়িত্ব পেতে আগ্রহী। সূত্র মতে, এরই মধ্যে সম্পদের হিস্যা নিয়ে রওশন এরশাদের সঙ্গে বিদিশার আলো-আঁধারের একটি যোগাযোগ হয়েছে এবং সেই যোগাযোগের ফলেই এরিকের জন্মদিনে প্রেসিডেন্ট পার্কে গিয়েছিলেন সাদ এরশাদ।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিদিশা সিদ্দিক বলেন, ‘এখন করোনার সময়, আপনি আমাকে করোনার বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। অন্য কোনো বিষয়ে ফোনে জবাব দেব না।’ তাহলে আজ বা কাল আপনার বাসায় আসি? এর প্রত্যুত্তরে এই প্রতিবেদককে তিনি বলেন, ‘করোনার সময় অন্য কাউকে বাসায় অ্যালাউ করছি না, করোনা শেষ হলে আসবেন, তখন সামনাসামনি কথা বলব।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews