1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
চিতায় পুড়াল এ্যানীর লাশ; বিপাকে ইউপি চেয়ারম্যান ১৮ আসামী
শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
নড়াইল মুক্ত দিবস,শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ ডিসেম্বর পালনের প্রস্তুতি সভা নোয়াখালীতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে  শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা  সাবেক এমপি রশীদুজ্জামানের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করছেন করেছেন আদালত শহীদ আবু সায়েদের সনদ তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা সাভারে পাওনা টাকার জন্য বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে হত্যামামলার আসামী রনি গ্রেপ্তার কাশিমপুরে জমি বিরোধ ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কেশবপুরে সেই অবৈধ ইটভাটা রোমান ব্রিকসটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন নবাবগঞ্জে শ্রমীকলীগ নেতার বিরুদ্ধে সরকারি খালের মাটি লুটের অভিযোগ ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর

চিতায় পুড়াল এ্যানীর লাশ; বিপাকে ইউপি চেয়ারম্যান ১৮ আসামী

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২১ আগস্ট, ২০২১, ১২.৩২ এএম
  • ১৯৩ বার পঠিত
সোমেন সরকার
চট্টগ্রাম বোয়ালখালীতে ইয়াছমিন আক্তার এ্যানী (২৪) নামে মুসলিম এক নারীকে হত্যা ও সনাতন নিয়মে পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগে শ্রীপুর খরণদ্বীপের ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোকারম ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ আরো ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে।
গত ১৬ আগস্ট চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (চট্টগ্রাম) আদালতে ওই (নং-১২৯/২০২১) ওই মামলাটি দায়ের করেন নিহতের মা রোকসানা বেগম।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন-চট্টগ্রাম বোয়ালখালী উপজেলার ৮নং শ্রীপুর খরণদ্বীপ ইউনিয়নের রতন চৌধুরী (বয়স উল্লেখ নেই), সাধন মহাজন (৬০), নিমাই দে (৪৫), শংকর দত্ত (৩৩), অরবিন্দ মহাজন (৫০), অরুন দাশ (৫০), দিলীপ দেব (৪৫), প্রদীপ সুত্রধর (৪০),  রাম প্রসাদ (৩৮), রনি দে (৩০), অরুপ মহাজন (৪২), সমর দাশ (৫৫), রবীন্দ্র ধর (৬০), নিপুন সেন (৬০), মো. মোকারম চেয়ারম্যান, ইউসুফ প্রকাশ ড্রেজার ইউসুফ (৩৫) ও পবন দাশ (৫৫)।
আদালত অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে আদালতকে অবহিত করার জন্য বোয়ালখালী থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে,  ইয়াছমিন আক্তার এ্যানি চট্টগ্রাম নগরীর কেপিজেড এলাকায় অবস্থিত একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। কাজের সুবিধার্থে বন্দরটিলা এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। বাসা থেকে কর্মস্থলে আসা যাওয়ার পথে ওই এলাকায় অবস্থিত একটি সেলুনের কর্মচারী নাম বাবলু দের সাথে পরিচয় হয়। পরে প্রনয় এবং তা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। বাবলু এবং এ্যানির সংসারে ইশা মনি নামক দেড় বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।মামলায় আরো বলা হয়, হিন্দু ধর্মাবলম্বী হয়েও মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বাবলু এ্যানিকে বিয়ে করেন। পরে এ্যানি জানতে পারায় এ বিষয়ে তাকে ধর্মান্তরিত হওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। চাপ থেকে মুক্ত হতেই সুকৌশলে তাকে ঠান্ডা মাথায় খুন করে হিন্দু রীতিতে পুড়িয়ে দেওয়া হয় লাশ। যাতে কোন রকম প্রমাণ পাওয়া না যায়।
বাদি রোকসানা বেগম দাবি করেন, আমার মেয়ে বাবলুর সকল অপকর্ম জেনে যাওয়ায় তাকে প্রায় সময়ই নির্যাতন করত। যা সে তার বান্ধবীদের নিকট জানিয়েছে। সে আমার মেয়েকে হিন্দু ধর্ম গ্রহণে চেষ্টা চালিয়েছিলো। এ্যানী রাজী না হওয়ায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যু এবং হিন্দু হিসেবে দাহ করে জ্বালিয়ে দেন।গত ৩ আগস্ট বাগেরহাট থেকে না আসা পর্যন্ত লাশ দাফন না করার অনুরোধ জানালেও তারা তার মেয়েকে পুড়িয়ে ফেলে বলে অভিযোগে জানায়। এজাহারে আরও বলা হয়,  হত্যার আলামত নষ্টের উদ্দেশ্যেই তাকে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। কোন মৃত্যু সনদ কিংবা পুলিশের অনুমতি ছাড়াই কেবল চেয়ারম্যান, মেম্বার, চৌকিদারের দোহাই দিয়ে তার মেয়েকে পুড়িয়ে ফেলার মধ্য দিয়ে তারা বিষয়টি অতিদ্রুত ধামাচাপা দিতে চেয়েছে।
বাদির আইনজীবি এএম জিয়া হাবিব আহসান জানান, এ্যানীকে হত্যার অভিযোগ এনে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্যা মামলা করা হয়। বোয়ালখালী থানার এসিকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোবারক বলেন, সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমরা যেন নৌকা প্রতীক না পাই এবং আমাদের হেয় করার জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা মামলাটি করিয়েছে।’
ওদিকে, বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম বলেন, আদালত থেকে আদেশ পাবার সাথে সাথে এসআই সুমন কান্তিদে কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখছেন।’
এসআই সুমন কান্তিদে বলেন, যতদুর শুনেছি গার্মেন্টসে চাকরি করার সময় ইয়াছমিন আক্তার এ্যানীর সাথে বাবলু দের পরিচয় সূত্রে প্রেম-বিয়ে। একটা সন্তানও রয়েছে। আরো জেনেছি মেয়েটি মুসলিম ছিল। গতকাল মাত্র মামলা রুজু হলো তদন্ত চলছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।’মুঠোফোনে নিহতের মা রোকসানা বেগম বলেন, বিশেষ করে এ ঘটনার মূল মাস্টার মাইন্ড হিসেবে কাজ করেছে রতন চৌধুরী, মোকারম চেয়ারম্যান ও ড্রেজার ইউসুফ। এদের সহযোগিতায় আলামত নষ্ট করতে আমার মেয়েকে পুড়িয়ে ফেলেন। ন্যায় বিচারের আশায় আমি আদালতে একটি অডিও রেকর্ডও জমা দিয়েছি।অভিযুক্ত আ.লীগ নেতা রতন চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যান নই। আমাকে কেন আসামি করল তা আমি জানি না। সামনে নির্বাচন তাই হয়তো এ কাজটি করল। তবে ঘটনাটি মিথ্যা।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews