ওয়াকিল আহমেদ, ক্ষেতলাল উপজেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে জিয়াপুর গ্রামের আবু কালামের নিখোঁজ প্রতিবন্ধী ছেলে জাহানুর ইসলাম ডিপজল (২০) এর মরদেহ ১৮ ঘন্টা পর ভাসমান অবস্থায় নদী হতে উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল রবিবার ( ২৯ আগস্ট) দুপুর ১১ টায় ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউপির ঐতিহাসিক আছরাঙ্গা দীঘি সংলগ্ন সন্যাসতলী ব্রীজ হতে তুলসীগঙ্গা নদীতে পড়ে যায় উপজেলার মামুদপুর ইউপির জিয়াপুর গ্রামের আবু কালামের ২০ বছর বয়সী বাক প্রতিবন্ধী ছেলে জাহানুর ইসলাম ডিপজল।
নিখোঁজ ডিপজলের একমাত্র ছোট ভাই শহীদ ( ১৫) জানান, আমরা দুই ভাই মাছ ধরার জন্য এসেছিলাম। আমার ভাই মাছ রাখার পাতিল নিয়ে ব্রীজে বসে থেকে ছেলেদের ব্রীজ হতে নদীতে লাফ দেওয়া দেখছিল। আমিও পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম।
এমন সময় এক লোকের ঘাসের বস্তা হতে ঘাস পড়ে যাওয়ায় আমাকে তুলে দিতে বলে। আমি তা তুলে দিয়ে তাকিয়ে দেখি আমার ভাই সেখানে নেই। পরে বুঝতে পারি সে নদীর পানিতে পড়ে গেছে। তার মৃগী রোগ ছিল বলে জানায়।
স্থানীয়রা ক্ষেতলাল উপজেলা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। কিন্ত নদীর গভীরে খোঁজার মতো জনবল ও সরঞ্জাম না থাকায় উদ্ধার কাজের জন্য রাজশাহী হতে ডুবুরী দলকে খবর দেয় তারা। খবর পেয়ে গতকাল রবিবার সন্ধ্যা ৬ টায় ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন।
উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন কর্মকর্তা ইব্রাহিম হোসেন জানান, নদীতে নেমে উদ্ধার কাজ চালানোর মতো আমাদের সক্ষমতা না থাকায় রাজশাহী ডুবুরী দল খবর দেওয়া হয়। তারা গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টা হতে রাত ৮ টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টার চেষ্টায় নিখোঁজ প্রতিবন্ধীর মরদেহ খোঁজে না পাওয়ায় রাত ৮ টায় উদ্ধার কাজ স্থগিত ঘোষণা করা হয়। এর আগেও স্থানীয়রা অনেক খোঁজে এতে মোট ৮ ঘন্টা সময় পরেও মিলেনি তার মরাদেহ৷
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক শওকত আলী জোয়ারদার।
জানা যায়, দ্বিতীয় দফায় অভিযানের পূর্বেই সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় তার পরিবার ও স্থানীয়রা মরদেহটি দেখতে পেয়ে ব্রীজ হতে আধা কিলোমিটার দূরে নদীর ভাটির দিক হতে উদ্ধার করেন।
ক্ষেতলাল থানা অফিসার ইনচার্জ নীরেন্দ্র নাথ মন্ডল জানান, আমি ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি এবং এ নিয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..