কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়ে বিভিন্ন এলাকা প্লাতি হয়েছে। উপজেলার কৃষিজমি তলিয়ে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। কয়েক হাজার হেক্টর জমির আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
রবিবার ব্রহ্মপুত্র নদে পানি না বাড়লেও সোমবার সকাল থেকে আবার পানি বৃদ্ধি পেয়ে উপজেলার রাজারভিটা, গুরাতি পাড়া, মাঝস্থল,পুটিমারী, হাটিথানা, রমনা মাঝিপাড়া,
খোর্দবাশপাতারী, গয়নারপটল, ঘোড়ারকুটি, এলাকা প্লাবিত হয়ে এসব মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে আশ্রিত মানুষের মাঝে খাদ্য, বিশুদ্ধপানি ও গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে।
মানুষের মাঝে সর্দিজ্বর ও আমাশয়সহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিত শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। পাউবো জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে গত
১২ঘন্টায় ৯ সে.মি. পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৮ সে.মি উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। নদে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় উপজেলার সদর তলিয়ে যাওয়ার আশংকায় লোকজন উৎকন্ঠায়
দিনাতিপাত করছে। এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান বন্যার্তদের জন্য ২৫ মে.টন চাল, ১লক্ষ টাকা ও শুকনা খাবারের বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
শিঘ্রই এগুলো বন্যার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রণয় বিশান দাস জানান, বন্যায় ৩হাজার ৫শ হেক্টর জমির আমন ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
কৃষি অফিসের উদ্যোগে উচু জমিতে আমন বীজতলা তৈরী করা হয়েছে। যেগুলো জমির ক্ষেত নষ্ট হবে সেগুলো জমিতে বন্যাত্তোর চারা রোপনের জন্য কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে বিতরণ করা হবে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..