কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে আগ্রাসী তিস্তা নদীর ভাঙন রোধে নিজস্ব অর্থায়নে সুরক্ষা ব্যবস্থা, নদী সংস্কার ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ক্ষতিপূরণের দাবীতে মানববন্ধন করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার ঘরিয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চর খিতাব খাঁ ও গতিয়াসাম এলাকার সহস্রাধিক নারী, পুরুষ ও শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ গ্রহন করে।
এসময় বক্তব্য রাখেন তিস্তা বাঁচাও নদী বাঁচাও সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ, কেন্দ্রীয় নেতা ও গেরিলা লিডার ড. এসএম শফিকুল ইসলাম কানু, কুড়িগ্রাম প্রথম আলো প্রতিনিধি সফি খান, রাজারহাট প্রেসক্লাবের সভাপতি সেকেন্দার আলী বাবলু, রূপালি ব্যাংক এর কর্মকর্তা সাজু সরকার, ঘরিয়ালডাঙ্গা ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম, মহুবর রহমান, ব্যবসায়ী ওয়াজেদ আলী প্রমুখ।
ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, শুধু গতিয়াসাম এলাকায় কয়েকদিনে প্রায় দুই হাজারের অধিক বাড়ীঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙন দুর্গত এলাকায় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের পরিদর্শন না করা দুঃখজনক। তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, জেলা, উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহের সমালোচনা করে বলেন, ভাঙন দুর্গতদের পাশে পর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা দেওয়ার জরুরি। মহাপরিকল্পনার নামে অথবা ভিন্ন নামে হলেও অন্য দেশের ঋণের ওপর নির্ভর না করে দেশীয় অর্থায়নে তিস্তা নদীর সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দুশ’৩৪ বছরের ইতিহাসে তিস্তা নদীর প্রতি কোন যত্নই নেয়া হয়নি।’
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙনে এ পর্যন্ত স্কুল, মসজিদ, হাজার হাজার বাড়িঘর, রাস্তা ও আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। সর্বশান্ত হয়েছে এই এলাকার গতিয়াসাম. সরিষাবাড়ী, বুড়িরহাট, চর খিতাব খাঁ, কালিরমেলা, গাবুর হেলানসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন নদী পাড়ের মানুষ। প্রশাসন থেকে পর্যাপ্ত ত্রাণ না পাওয়ায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে দুর্গতরা।
বক্তরা, ভাঙন রোধে নিজস্ব অর্থায়নে নদী ভাঙন রোধসহ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়া বসতভিটা ও আবাদি জমির ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..