বগুড়া জেলা প্রতিনিধি:
বগুড়ার শিবগঞ্জে সেনা সদস্য কর্তৃক ফুঁসলিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করেছে । অবশেষে প্রশাসনের দ্বারস্থ
হয়েছে সেই গৃহবধূ ।
শিবগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাঁদনিয়া শিবগঞ্জ গ্রামের লব এর পুত্র ধর্ষক সোহেল রানা (২৪)
বর্তমানে সে রংপুর সেনানিবাসে কর্মরত আছে।
মূলত সোহেল রানা একজন সেনাবাহিনীর সদস্য।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ নিরূপায় হয়ে গত ১লা সেপ্টেম্বর শিবগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক সোহেল রানা ঐ গৃহবধূর ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে এবং ফেসবুক একাউন্ট সংগ্রহ করে তাকে বারবার প্রেম প্রস্তাব কখনো বিয়ের প্রস্তাব কখনো বা শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিতো কিন্তু গৃহবধূ তাকে পাত্তা দিতোনা। কিন্তু সেনাসদস্য যেন একটু গায়ের জোরে সম্পর্কটি করার চেষ্টা করতো।
এরই একপর্যায়ে গত ২৩ আগষ্ট বিকেলে ঐ গৃহবধূ তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন মেরামত করার কাজে শিবগঞ্জের নিমতলা এলাকার অঙ্গসাজ টেইলার্স এর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ জোরপূর্বক ঐ গৃহবধূকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে রায়নগর এলাকায় সোহেল রানা তার চাচাতো বোনের বাড়িতে নিয়ে যায়।
সেখানে থাকা সোহেল রানার ভাগিনা রবিউল ইসলাম (২৫) তাকে বাড়িতে ঢোকা সহ সার্বিক সহযোগিতা করেন। এবং এক পর্যায়ে গৃহবধূর অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে । সেনা সদস্য সোহেল রানার মনের আশা পূর্ণ হওয়ার পরে কৌশলে শিবগঞ্জ পৌরসভার সামনে ফেলে যায়।
ধর্ষক সোহেল রানার সাথে কথা বলার জন্য বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে তার পরিবারের লোকজন কোন কথা বলতে রাজি হয়নি। সে সময় সোহেল রানার বোন বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি বলেন এ সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না।
ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা জানান, আমারা গরীব ও অসহায়। আমার স্বামী অটো ভ্যান চালক, সারাদিন অটো ভ্যান চালিয়ে যেটুকু ইনকাম হয় তা দিয়ে আমাদের সংসার চলে। আমার এই মেয়ের কিছু হলে তার দায় দায়িত্ব কে নিবে। আমার মেয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে । আমি ও আমার মেয়ে প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন করছি যে সঠিক তদন্ত ও সুষ্ঠ বিচার আমরা চাই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক বেলাল হোসেন বলেন, আসামী সেনাবাহিনীতে চাকুরী করে। সে বর্তমানে পলাতক । প্রায় গত ২০ দিন হলো লাপাত্তা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..