রেখা মনি নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কোরবানির ঈদের সময় অনলাইনে একটি গরু অর্ডার করে সেটি ঠিকমতো বুঝে পাননি বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশিও। রোববার একটি অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গ টেনে নিজের সেই অভিজ্ঞতার কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘২০২০ সালের কোরবানি ঈদের সময় অনলাইনে পশু বেচাকেনা শুরু হয়। এই সময় এ বিষয়ক কার্যক্রমের একটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আমি অতিথি ছিলাম। ওই অনুষ্ঠানেই আমি একটা গরু কেনার অর্ডার করি। এটার মূল্য বাবদ এক লাখ টাকা আগাম পরিশোধও করি।’
‘কিন্তু ছয় সাত দিন পরে জানলাম, যে গরু অর্ডার করেছিলাম, সেই গরু নেই। তখন ওই অনলাইনের লোকজন দুই তিন দিন পরে বলল আপনাকে সে গরুটা দিতে পারছি না, অন্য গরু দেব। যাহোক পরে তারা আমাকে অন্য একটা গরু দিল, জানাল তার দাম ৮৭ হাজার টাকা। বাকি ১৩ হাজার টাকা বাবদ তারা আমাকে একটা খাসি দিয়ে দিল। একজন মন্ত্রী; তার এ দশা হলে, অন্যদের কী হবে।’
তবে গত কোরবানির ঈদে এমন হয়নি বলে জানিয়েছেন টিপু মুনশি।
রোববার বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইকোনোমিক রিপোর্টার ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
‘প্রতিযোগিতা আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে ইআরএফের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালা শুরুর আগে প্রতিযোগিতা কমিশন অফিসে মুজিব কর্ণার উদ্বোধন করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত কর্মশালায় সংস্থার সদস্য এএফএম মনজুর কাদির, জিএম সালেহ উদ্দিন, নাসরিন বেগম, উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মাফরুহা মারফি এবং ইআরএফের সভাপতি শারমীন রিনভী ও সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলামও এতে বক্তব্য রাখেন।
এসময় মন্ত্রী এও বলেন, ডেসটিনি ও যুবকের সম্পদ বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায় কি-না, তা ভাবা হচ্ছে। কারণ এসব কোম্পানির সম্পদের মূল্য বেড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ দুটি কোম্পানির সম্পদ বিক্রি করে ক্ষতিগ্রস্তদের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ক্ষতিপূরণ দেওয়া সম্ভব হবে। এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। আইনে সংশোধন প্রয়োজন হলে, তা করা হবে।