1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: সারাবিশ্বের ‘মুকুট মণি’
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:২৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
লোহাগাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব ১৯ দোকানদার!গাফিলতির অভিযোগ ফায়ার সার্ভিসের উলিপুরে “তারুণ্যের উৎসব উদযাপন উপলক্ষে কর্মশালা অনুষ্ঠিত কালুখালী উপজেলা ছাত্রদলের শাওরাইল ইউনিয়নের কর্মী সম্মেলন  অনুষ্ঠিত                  খেলার জন্য বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে হত্যার অভিযোগ রাজশাহী পুঠিয়ায় অনুমোদন ছাড়াই চলছে ইটভাটা পুড়ছে কাঠ লোহাগড়া কৃষি অফিসে বিভিন্ন তথ্য পেতে সাংবাদিকদের ভোগান্তি এখনো ঝুঁকিমুক্ত নয় মা হারা হাতি শাবকটি রইছে নিবিড় পরিচর্যায়। সারদা পুলিশ একাডেমিতে কনস্টেবলদের স্থগিত হওয়া সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত লোহাগড়ায় গরু ব্যবসায়ী অপহরণ: শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন, ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি ডামুড্যায় জমি নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের হামলায় সাংবাদিক সহ আহত ৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা: সারাবিশ্বের ‘মুকুট মণি’

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫.৩৪ এএম
  • ২৩৬ বার পঠিত

তৌহিদ আহাম্মেদ রেজাঃ

বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন-অর্জনের পেছনে যে মানুষটি নিরলস শ্রম দিয়ে চলেছেন তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর দীক্ষা কল্যাণমন্ত্রে, যে কারণে উন্নয়নের ব্রত সাধনায় তিনি নিজেকে নিয়োজিত রাখেন সর্বক্ষণ। দেশের মানুষকে প্রাধান্য দিয়ে তিনি দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। আর তারই স্বীকৃতিস্বরূপ পেলেন ‘এসডিজি প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ড’। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট বা এসডিজি অর্জনের পথে বাংলাদেশের সাফল্যের স্বীকৃতি এই অ্যাওয়ার্ড। টেকসই উন্নয়নবিষয়ক নবম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের অংশ হিসেবে ২০ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। একই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ক্রাউন জুয়েল’ বা ‘মুকুট মণি’ আখ্যায়িত করেছে আর্থ ইনস্টিটিউট, কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, গ্লোবাল মাস্টার্স অব ডেভেলপমেন্টস প্র্যাকটিস এবং ইউএন সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক।

করোনা মহামারির সময় বিশ্ব অর্থনীতি বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। অনেক দেশেই সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এমন একটি সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এসডিজি উন্নয়ন পুরস্কার পাওয়া বাংলাদেশের জন্য এক অনন্য অর্জন। এটা যেমন শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের স্বীকৃতি, তেমনি দেশের জন্য এক বিরল সম্মান।

বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। কল্যাণমন্ত্রে তাঁর দীক্ষা। উন্নয়নের ব্রত সাধনায় তিনি নিজেকে সর্বক্ষণ নিয়োজিত রেখেছেন। তাঁর যোগ্য নেতৃত্বে সব সংকট মোকাবেলা করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তার নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতি আজ চাঙ্গা হয়েছে। তলাবিহীন ঝুঁড়ি হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিত বাংলাদেশ আজ মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে আজ মডেল ইকোনমিক কান্ট্রি।

গ্রেনেড হামলাসহ নানা ঘাত-প্রতিঘাত ও বিপদসংকুল পথ পেরিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। নানা সঙ্কটময় পরিস্থিতি ও বিরোধী দলের উত্তাল আন্দোলনের মাঝেও দক্ষ হাতে সরকার পরিচালনা করছেন। শেখ হাসিনা নিজেকে শুধু দক্ষ রাজনৈতিক হিসেবেই গড়ে তোলেননি, আওয়ামী লীগের সরকার পরিচালনাতেও অনুকরণীয় যথেষ্ট বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যাকে যেভাবে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেছেন তা বিশ্বে দৃষ্টান্ত হয়েই থাকবে। কেবল একুশে আগস্টই নয়, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের মাটি থেকে মুছে ফেলতে ১৯৮৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৯ বার হামলা হয়েছে। খুনিচক্র রাজধানীর ধানমণ্ডি, রাসেল স্কয়ার, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এবং চট্টগ্রাম, কুষ্টিয়া, টুঙ্গিপাড়া, নাটোর, ঈশ্বরদীসহ সব মিলিয়ে ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য চেষ্টা চালিয়েছিল।

শেখ হাসিনাকে প্রথম হত্যার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি। এরশাদ শাসনামলে ওইদিন চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে আটদলীয় জোটের সমাবেশে যোগ দিতে মিছিল সহকারে যাওয়ার সময় শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে পুলিশ-বিডিআর গুলি চালায়। সেই সঙ্গে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জও হয়। এতে ৭ জন নিহত ও তিন শতাধিক আহত হন।
১৯৮৯ সালের ১১ আগস্ট রাত ১২টায় ফ্রিডম পার্টির সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবনে। শেখ হাসিনা তখন ওই ভবনটিতে ছিলেন। হামলাকারীরা ৭-৮ মিনিট ধরে বঙ্গবন্ধু ভবন লক্ষ্য করে গুলি চালায় ও একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। তবে গ্রেনেডটি বিস্ফোরিত না হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা।

১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গ্রিন রোডে শাসক দলের সন্ত্রাসীরা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গুলি ও বোমাবর্ষণ করে। ওইদিন গ্রিন রোডে পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্রে ভোটের পরিস্থিতি দেখতে গেলে তার ওপর এ হামলা হয়।

১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী ও নাটোর রেলস্টেশনে প্রবেশের মুখে শেখ হাসিনাকে হত্যার লক্ষ্যে গুলিবর্ষণ করা হয়। পরের বছর ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর রাসেল স্কয়ারের কাছে সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়।

১৯৯৬-এর ৭ মার্চ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউর আওয়ামী লীগের সমাবেশে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তৃতার পর অকস্মাৎ একটি মাইক্রোবাস থেকে সভামঞ্চ লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। নিক্ষেপ করা হয় বোমা। ২০ জন নেতাকর্মী আহত হলেও প্রাণে রক্ষা পান শেখ হাসিনা। ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলেমেয়েসহ ৩১ জনকে হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে ই-মেইল পাঠানো হয়।

শেখ হাসিনা হত্যাপ্রচেষ্টার আরেকটি বড় ধরনের ষড়যন্ত্র হয়েছিল ২০০০ সালের ২০ জুলাই। ওইদিন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য জনসভাস্থলের কাছে ও হেলিপ্যাডের কাছে পুঁতে রাখা হয় ৭৬ কেজি ওজনের বোমা। সৌভাগ্যবশত এই বোমা গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে।

২০০১ সালের ২৯ মে খুলনার রূপসা সেতুর কাজ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য জঙ্গি সংগঠন হুজি অনুষ্ঠানস্থলে একটি বোমা পুঁতে রেখেছিল, যা গোয়েন্দা পুলিশ উদ্ধার করে। ২০০১ সালে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে নির্বাচনী প্রচারাভিযানে গেলে ২৫ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন স্থানে বোমা পুঁতে রাখে হুজি। একদিন আগেই বোমাটি বিস্ফোরিত হলে ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। ২০০২-এর ৪ মার্চ নওগাঁয় শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গাড়িতে হামলা চালায় শাসক দলের ক্যাডাররা। একই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা সাতক্ষীরার কলারোয়ার রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা চালায়। ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল বরিশালের গৌরনদীতেও শেখ হাসিনার গাড়িবহরে গুলিবর্ষণ করে শাসক দলের সমর্থকরা।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তি সমাবেশস্থলে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে পরপর ১৩টি গ্রে

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews