ডেস্ক রিপোর্ট
সময়-সুযোগ পেলেই দেশ বিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হওয়া বিএনপি ও জামায়াতের বেশ পুরনো অভ্যাস। সেই ধারাবাহিকতায় এবারো এ দুটি দলের অর্থায়নে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করার ‘নতুন মিশনে’ নেমেছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্যমতে, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে অতীতের মতো আবারো জ্বালাও-পোড়াও রাজনীতি শুরুর পাঁয়তারা করছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক নাশকতার নানা পরিকল্পনা করছেন বিতর্কিত এ দুই সাবেক ছাত্রনেতা। লন্ডন থেকে তারেক রহমানের প্রচ্ছন্ন নির্দেশনায় তারা এমনটা করছেন এবং এরই মধ্যে অনেকটা অগ্রসরও হয়েছেন।
এদিকে এমন পরিকল্পনা এবারই প্রথম নয়, এর আগেও করা হয়েছিল। এর আগে নাশকতার পরিকল্পনার আলাপচারিতার অডিও রেকর্ড ফাঁস হলে পুলিশের হাতে আটক হন মাহমুদুর রহমান মান্না। জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারও করেন ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকার কথা।
তবে দুঃখজনক হলেও সত্য ওই ঘটনায় কোনো আফসোসই ছিলো না মান্নার। বরং হাসিমুখে জিজ্ঞাসাবাদে মান্না বলেছিলেন, রাজনীতির গতিপথ বদলাতে গেলে লাশের প্রয়োজন হয়!
সম্প্রতি জানা গেছে, তিনি আবারো পুরনো সেই পথে হাঁটছেন। এরই মধ্যে ‘মানুষ হত্যা’র লক্ষ্যে অনলাইন ও অফলাইন- এ দুই মাধ্যমেই করেছেন বৈঠক। অণুজপ্রতিম সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে এরই মধ্যে করা হয়েছে শলা-পরামর্শ।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এ অর্থায়নে বিএনপি-জামায়াতের সম্মিলিত প্রয়াস হলেও এতে বিশেষ ভূমিকা রাখছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। অর্থায়নের সিংহভাগই তার কোষাগার থেকে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি দিচ্ছেন সার্বিক দিক-নির্দেশনাও।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, তারেক গভীর জলের মাছ। ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’ করে পুরো প্ল্যানটা সাজিয়েছেন। আর নামে মাত্র সামনে রেখেছেন মান্না ও নুরকে। নেপথ্যের কলকাঠি সে-ই নাড়ছে।
তারা আরো বলেন, এর আগেও এ ধরনের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের তথ্য ফাঁস হওয়ায় নেপথ্যে নায়কের ভূমিকায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তারেক রহমানকে। তবে ভুল থেকে কখনোই শিক্ষা নেয়নি তারেক।
তাদের মতে, আর এর ফলেই বিএনপি এখন ‘কোমর ভাঙা’ দলে পরিণত হয়েছে। বিএনপিকে নিয়ে জনগণ এখন পরিহাস করে। আর যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের গায়ে তকমা লেগেছে সন্ত্রাসী ও বোমাবাজদের দল হিসেবে।