দীর্ঘ ৭ মাস পর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়া এবং মদন থানা ওসি ফেরদৌস আলম ও ৬ নং দুওজ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আঃ সেলিম ( মনির) এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিতিতে ডেজারের বালু ব্যবসাসী ইমরুল ইসলাম শেখের( ৫০) মৃত্যুর ঘটনা রহস্যজনক হওয়ায় লাশ উত্তোলন করলেন মদন থানা ও আট পাড়া থানার পুলিশ প্রশাসন ময়না তদন্তের জন্য।
জানা যায় ইমরুল ইসলাম শেখ( ৫০)আটপাড়া থানার ৬ নং দুওজ ইউনিয়নের ইকরাটিয়া গ্রামের শেখ সামছুল ইসলসমের ছেলে ।
মামলা সুত্রে জানা যায়, মদন উপজেলার জাওলা গ্রামের রইছ উদ্দিনের ছেলে হারছ (৪৫) হাবিবুর ও মৃত ইমরুল শেখ, একই সাথে ৩ জনের ডেজারের বালুর ব্যবসা পার্টনার ছিলেন।
আটপাড়া থানার ইকরাটিয়া গ্রামের মৃত ইমরুল শেখ( ৫০)। রহস্যজনক মৃত্যু হওয়ার কারণে তার ছেলে মনিরুল ইসলাম মান্না বাদী হয়ে মদন থানা মামলা করিতে আসলে মামলা না নেওয়া, বিজ্ঞ আদালতে ৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন মনিরুল ইসলাম (মান্না)।
আসামিরা হলেন, জাওলা গ্রামের মৃত সামছু মিয়া ছেলে আলামিন (৩০),পিতা অজ্ঞাত সোহেল (৩৫),মৃত ফজলুল করিমের ছেলে শফিক(৪৫),মৃত আলাল মিয়ার ছেলে মঞ্জুরুল (৫০) ও রইছ উদ্দিনের ছেলে হারছে মিয়া(৪০)।
ডেজারে বালু উত্তোলনের দীর্ঘ দিনের ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলেন মৃত ইমরুল শেখ(৫০) ।
একই সাথে দীর্ঘ দিন ব্যবসা করার কারণে ব্যবসার টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে মনোমালিন্য হয় আলামিন এর সাথে, মৃত ইমরুল শেখের। এ বিষয়টা বার – বার বুঝিয়ে বলতেন , আলামিনের মামা হারেছ মিয়ার কাছে, মৃত ইমরুল শেখ।
হারেছ মিয়া দু জনের ব্যবসার টাকা নিয়ে মনোমালিন্য চলছে জেনেও ভাগ্নে আলামিনের বিরুদ্ধে কথা বলেন না, মামা হারেছ মিয়া।
আলামিনের কাছে টাকা- পয়সা লেনদেনের মনোমালিন্য চলছে বিষয়টা প্রায় সময়ই মৃত ইমরুল ইসলাম শেখ স্ত্রীর কাছে ও সংসারে বলতেন।
৪ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং সকাল ৯ ঘটিকা বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় বলে যান, আজকে হারেছকে নিয়ে জাওলা গ্রামের সামনে মরা নদীর পাড়ে আলামিনের কাছে যাবেন,ঐখানে যাওয়ার পর আমার বাবার কি হয়েছে তা জানতাম না, বাড়ির সামনে এসে চিৎকার দিয়ে বলে আমাকে মেরে ফেলছে আমি শেষ এবলে মৃত্যুবরন করেন ইমরুল শেখ বলেন, ছেলে মান্না (২১)।
১৪ আগস্ট তেলিগাতী বাজারে আলামিন শেখের দোকানে ইউপি সদস্য তাজ মিয়া বলেন, তোমার বাবার মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ইং তারিখে তোমার বাবা ও হারেছ মিয়া আমার মোটরসাইকেল নিয়ে মরা নদীর পাড়ে যায়, ওখান থেকে এসে, আমি সহ অনেকই ধনাই মিয়ার চা,য়ের দোকানে বসাছিলাম দেখে বলেন,আলামিন(৩৫),সোহেল(৩০),শফিক (৪৫), মঞ্জুরুল (৫০) আমাকে মরা নদীর পাড়ে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি, মেরেছে , হারেছ দেখেও কিছুই বলেনি, তখন আমি ইউপি সদস্য তাজ মিয়া সহ অনেকেই বলেছিলেন, এখন বাড়ি চলে যান বিষয়টি পর সমাধান করে দিব।
ইউপি সদস্য তাজ মিয়া বলার পর, আমরা জানতে পারি , আমার বাবার মৃত্যু স্বাভাবিক মৃত্যু না, পরিকল্পিতভাবে মেরেছে আমার বাবাকে বলেন, মামলার বাদী মাঈনুল ইসলাম মান্না)।
মদন থানা অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌসের আলম বলেন , ইমরুলের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উক্ত ঘটনার ব্যপারে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা রাজিয়া বলেন, ময়না তদন্তের জন্য ইমরুলের লাশ উঠানো হয়েছে, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।