ইসমাইল হোসেন ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নার্সকে মারধরের ঘটনার মামলায় ২জন আসামী গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী পুলিশ। হাসপাতালে ভর্তি রোগী শুভর পিতা আনোয়ার হোসেন এবং অনামিকা নামের একজনকে বৃহস্পতিবার দিন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন,মামলা সূত্রে জানা গেছে,২৮ শে জুন ২০২০ ফুলবাড়ীয়ার কালিবাজাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে শুভ কে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫ নং মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করেছে। ডাক্তারের চিকিৎসা পত্র অনুযায়ী শুভ কে সে দিন রাত আনুমানিক সময় ১১ টার দিকে ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সিনিয়র স্টাফ নার্স পাঁপড়ি রূপা রোগী শুভকে শিরাতে ইনজেকশন পুশ করেন। ইনজেকশন করা পর রোগী শুভ অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করে। রোগী শুভর অস্বাভাবিক আচরণ সম্পর্কে তাৎ ক্ষণিক হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তারকে, নার্স গিয়ে অবস্থা অবহিত করেন। এদিকে ওয়ার্ডে রোগীর সঙ্গে থাকা তার বোন অনামিকা,মা সুমি আক্তার এবংআনোয়ারহোসেনসহঅন্যরা ওয়ার্ডে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স পাপড়ী রূপাকে বেপরোয়া মারধর, টানা হেঁছড়া কাপড় করে চোপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং হত্যার চেষ্টা করেন। ওয়ার্ডের দায়িত্বরত অন্যসহকর্মীরা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতাল সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। এদিকে সু কৌশলে রোগীশুভরপরিবারের লোকজন পালিয়ে যান। করোনা যোদ্ধে যে খানে নার্স ও স্বাস্থ্য সহকারীরা জীবনবাজি রেখে চিকিৎসা দিয়ে আসছে-ঠিক,সে সময় দায়িত্বরত নার্সকে পিটানো বা হত্যার চেষ্টা পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্রুত কোতোয়ালী পুলিশ ঘটনাস্থলে হাজির হয় । উক্ত ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অল্প সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে । চিহ্নিত ঘটনায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্ম কর্তা ফরিদুল হক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন কোতোয়ালী মডেল থানা। যার মামলা নং-১ (৭)২০২০। মামলায় রোগী শুভর বোন অনামিকা, মা সুমি আক্তার ও পিতা আনোয়ার হোসেন সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামী করেন । মামলা হওয়ার ২৪ ঘণ্টার আগে ঘটনায় সঙ্গেজড়িত অনামিকা-আনোয়ার হোসেন কে গ্রেপ্তার করে। থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান বৃহস্পতিবার আটক কৃতদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..