নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
টাঙ্গাইলে মাদকাসক্ত মামা ভাগ্নে কতৃক এক কিশোরীকে পালাক্রমে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৬ই অক্টোবর) রাতে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের মুরাইদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।খবর পেয়ে সাগরদিঘী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ রাতেই ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে এবং ধর্ষনের সঙ্গে জড়িত মুরাইদ গ্রামের আয়নাল ড্রাইভারের ছেলে মোস্তফা(২৩) এবং একই এলাকার মফেজ উদ্দিনের ছেলে মোফাজ্জল (৩২) কে আটক করেন।
সাগরদিঘি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মনিরুজ্জামান এবং ধর্ষিতার সাথে কথা বলে জানা যায়,ওই কিশোরীর (১৫) সাথে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় মোস্তফার। মাঝে মাঝে কথা হতো তার সাথে। ঘটনার দুইদিন আগে ওই কিশোরী পরিবারের সাথে রাগ করে চাকরির খোঁজে চলে যায় গাজীপুর। কোথাও চাকরি না পেয়ে হতাশ হয়ে পরে ওই মেয়ে। পরে মোস্তফাকে বিষয়টি জানালে সে ওই তরুনীকে চাকরির আশ্বাস দিয়ে তার কাছে ডেকে নিয়ে আসে। মোস্তফা ওই মেয়েকে পরের দিন একটা চাকরির ব্যাবস্থা করে দিবে বলে এক রাত অপেক্ষা করতে বলেন।
পরে মোস্তফা মেয়েটিকে মুরাইদ গ্রামে তার প্রতিবেশি মামা মাদক ব্যবসায়ী মোফাজ্জল হোসেনের ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে মামা ভাগিনা দুইজনে মিলে পালাক্রমে চালায় অত্যাচার। এসময় ধর্ষিতা চিৎকার করলে মোস্তফা তার মামাকে টেলিভিশনের ভলিয়ম বাড়িয়ে দিতে বলে। ধর্ষিতাকে নানা ভয় দেখিয়ে চলতে থাকে পাশবিকতা। এসময় আরো একজনকে ডেকে আনে এতে অংশগ্রহন করতে। কিন্তু মেয়েটি কান্না করে ক্ষমা চাওয়ায় বেচে যায় তার হাত থেকে। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি টের পেয়ে সাগরদিঘি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে জানালে স্থানীয় লোকজনসহ পুলিশ তাদের আটক করেন।এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) রাতে ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।আজ আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ভিকটিম কে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার পিপিএম বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে এবং ওই নারীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।