রানা,পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার কামরাঙ্গীর চরে পুলিশের এ,বি,বি,এন বিভাগে কর্মরত এ,এস,আই সামুন ইসলাম ভূঁইয়াকে আটক করেছে পটুয়াখালী সদর থানার পুলিশ। তার বিরুদ্ধে তিন তিনটি স্ত্রীর কথা গোপন রেখে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে মারজান নামের এক নারীকে চতুর্থ বিয়ে করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারী চতুর্থ স্ত্রী মারজান নিজেই। আটককৃত প্রতারক সামুন কুমিল্লা জেলার বেজুয়া গ্রামের মৃত সেনা সার্জেন্ট হারুন অর রশিদ ভূঁইয়ার ছেলে।
প্রতারনার শিকার চতুর্থ স্ত্রী মারজান গনমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মীদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, তথ্য গোপন করে একে একে ৪ টি বিয়ে করে সামুন। শুক্রবার (০৮-অক্টোবর-২০২১ ইং) তারিখ মারজান জানতে পারে তিনি চতুর্থতম স্ত্রী। এই ঘটনা জানার পরে বেলা আনুমানিক ১২:০০ টার দিকে পটুয়াখালী পৌরসভাধীন ৯ নং ওয়ার্ডে মারজানের ভাড়া বাসায় বসে শারিরীক নির্যাতন করে পুলিশের এ এস আই প্রতারক সামুন ভুইয়া। এ সময় মারজান ৯৯৯ নাম্বারে কল দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চান। পরে পটুয়াখালী সদর থানার পুলিশ ৯৯৯ এর মাধ্যমে অবগত হয়ে এ, এস, আই, বশির কে ঘটনাস্থলে পাঠানো হলে প্রতারক সামুনকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এ সময় মারজান বলেন, আইন সবার জন্য সমান তাহলে আমার সঙ্গে পুলিশ সদস্য সামুন যে প্রতারনা ও শারীরিক নির্যাতন করেছে আইনের মাধ্যমে তার কঠোর বিচারের দাবি জানাই।
এছাড়াও অভিযুক্ত পুলিশের এ,এস,আই সামুন ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে স্ত্রীর দায়ের করা সি,আর-৮৭২/২১ যৌতুক মামলায় বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক ওয়ারেন্ট জারি করা আছে।
এবিষয়ে পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, বিষয়টি আমরা আইনানুগ ভাবে দেখবো।আইন সবার জন্য সমান সে যেই হোক অপরাধ থাকলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি