শহিদুল ইসলাম সোহেল নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ম্যাজিস্ট্রেট আসতেই কিশোরী হয়ে গেল তরুণী, ভুয়া কনে জেলে
বাল্যবিয়ের খবরে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। বিষয়টি টের পেয়ে চালাকির আশ্রয় নেন কনের বাবা। কনে সাজিয়ে নিকটাত্মীয় এক তালাকপ্রাপ্ত তরুণীকে হাজির করেন। বিয়ের পিঁড়িতে বসা তরুণীর কাগজপত্র দেখে ভ্রাম্যমাণ আদালত ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়ে বিয়ে বাড়িতে ফের অভিযান চালানো হয়। কনের বাবার প্রতারণাটি তখনই ধরা পড়ে। প্রতারণা করায় কনের বাবাকে সাতদিনের এবং ভুয়া কনেকে পাঁচদিনের কারাদণ্ড দেয় আদালত।
শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইল পৌরসভার কাগমারা এলাকায়। বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এ আদেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রানুয়ারা খাতুন।
দণ্ডিত কনের বাবার নাম আব্দুস ছাত্তার। আর ভুয়া কনের নাম এনি আক্তার। বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পাওয়া মেয়েটি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ধরেরবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার ওই ছাত্রীর বয়স সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিলেন ইউএনও। পরে বিদ্যালয়ের ভর্তি রেজিস্টার অনুযায়ী ছাত্রীর তথ্য দেওয়া হয়।
ইউএনও রানুয়ারা খাতুন বলেন, গাড়িচালক আব্দুস ছাত্তারের মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীর বিয়ে ঠিক হওয়ার খবর পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযান চালানো হয়। তখন প্রতারণার আশ্রয় নেন মেয়ের বাবা। কনে সাজিয়ে তালাকপ্রাপ্ত আত্মীয় এনি আক্তারকে সামনে হাজির করেন। এ সময় নিজের বিয়ে হচ্ছে বলে দাবি করেন এনি আক্তার। তার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে তার বয়স দেখা যায় ২১ বছর। বিয়ে বাড়ি থেকে চলে আসার পর আবার বিয়ের আয়োজন শুরু হয়।
তারা প্রতারণা করেছে বলে পরে একটি মাধ্যমে নিশ্চিত হই। এরপর ফের বিয়ে বাড়িতে গিয়ে মেয়েকে বাল্যবিয়ে দেবে না মর্মে মুচলেকা নিয়ে আব্দুস ছাত্তারকে সাতদিন ও ভুয়া কনে এনি আক্তারকে পাঁচ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।