কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি ও রংপুর বিভাগের দায়িত্ব প্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক’কে অভ্যর্থনা জানানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় জেলা আওয়ামীগের অত্যন্ত ১০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
জেলা আওয়ামীলীগ ও স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় অংশ গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটি ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক কে অভ্যর্থনা জানানোর সময় কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের বেশ কয়েক জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। সার্কিট হাউজ এর বেশ কয়েকটি জানালার গ্লাস ভাঙচুর করে। পরে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলী এবং সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু বলেন,সার্কিট হাউসে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক এর উপস্থিতিতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে জেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের ওপর আতর্কিত হামলা চালায়। এতে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ন.ম ওবায়দুর রহমান,সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু,যুব মহিলা লীগ নেত্রী আফসানা মিমিসহ প্রায় ১০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এসময় ছাত্রলীগের সদস্যরা সার্কিট হাউজেও ভাংচুর চালিয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবং শফিক ভাইয়ের নামে শ্লোগান দেয়া হয়। এসময় জেলা আওয়ামীলগের সাধারণ সম্পাদকের নামে শ্লোগান না দেয়া যুবলীগের সাধারণ কর্মী ও মাদক,হাতকাটাসহ ১১/১২টি মামলার আসামী আনোয়ার,তুহিন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল আমিন সরকার লিংকন,সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিমসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসীরা উত্তেজিত হয়ে আমাকে লাঞ্চিত করে গায়ে থাকা পাঞ্জাবি ছিড়ে দেয়।এসময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ নেতাকর্মী ধাক্কা-ধাক্কি হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকের মাঝে কোন গ্রুপিং নেই। জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জুর ছত্রছায়ায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আল আমিন সরকার লিংকন,সাংগঠনিক সম্পাদক ফাহিমের নেতৃত্বে আজকের ঘটনাটি পূর্ব পরিকল্পিত এবং সাজানো। তারা অতর্কিতভাবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির উপর হামলা এবং তার শরীর পাঞ্জাবি ছিড়ে ফেলে। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খান মো: শাহরিয়ার বলেন,সার্কিট হাউজে কেন্দ্রীয় নেতাকে অভ্যর্থনা জানানো কেন্দ্র করে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। যেকোন উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সেজন্য পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
Like this:
Like Loading...
Related
এ জাতীয় আরো খবর..