1. admin@surjodoy.com : Main : Admin Main
  2. dainiksurjodoy24@gmail.com : admin2020 : TOWHID AHAMMED REZA
  3. editor@surjodoy.com : Daily Surjodoy : Daily Surjodoy
শতাধিক ব্যক্তির কিডনি বিক্রি করেছে মাত্র ২লাখে ১০ বছর ধরে সক্রিয় চক্রকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি প্রনয়ন,বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাত সংস্কারের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাস চাপায় প্রাণ গেল ২ মোটরসাইকেল আরোহীর রাজশাহীতে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ, প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ জামিন নামঞ্জুর জেল হাজতে প্রেরন ফুলবাড়িতে যথাযথ মর্যাদায় সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত বাসে উঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ ছাত্রদের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র সাইন্সল্যাব এলাকা আইজিপি হিসেবে নিয়োগ পেলেন বাহারুল আলম পুঠিয়ায় সাথী ক্লিনিককে ১০ হাজার জরিমানা, সাংবাদিকের হুমকি নড়াইলে মদ্যপানে ১স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু,আরও ১ জন হাসপাতালে ভর্তি রাজশাহীতে গোপনে মৃত ব্যাক্তির জমি বিক্রয়ের অভিযোগ

শতাধিক ব্যক্তির কিডনি বিক্রি করেছে মাত্র ২লাখে ১০ বছর ধরে সক্রিয় চক্রকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর, ২০২১, ৬.২০ পিএম
  • ২৫১ বার পঠিত

ইমাম হোসেন জীবন চট্টগ্রামঃ

চক্রের প্রধান ইমরান ফেসবুকে ‘বাংলাদেশ কিডনি ও লিভার পেশেন্ট চিকিৎসা সেবা’ এবং ‘কিডনি লিভার চিকিৎসা সেবা’ নামে দুটি পেজের এডমিন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবৈধভাবে কিডনি কেনা-বেচার সংঘবদ্ধ চক্রের অন্যতম হোতা ও ফেসবুক পেইজ এডমিন মোঃ শাহরিয়ার ইমরানসহ ০৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

আজ মঙ্গলবার ভোরে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন চক্রের প্রধান শাহরিয়ার ইমরান আহম্মেদ (৩৬), মেহেদী হাসান (২৪), সাইফুল ইসলাম (২৮),আবদুল মান্নান (৪৫) ও তাজুল ইসলাম ওরফে তাজু (৩৮)।

মাত্র ২ লাখ করে টাকা দিয়ে শতাধিক ব্যক্তির কিডনি বিক্রি করেছেন তাঁরা: র‍্যাবজয়পুরহাট ও রাজধানীর নর্দ্দায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চক্রের সদস্যরা জয়পুরহাটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যকে টার্গেট করে অর্থের প্রলোভন দেখান। ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে কিডনিদাতার কাছ থেকে কিডনি সংগ্রহের পর নির্ধারিত রোগীর শরীরে প্রতিস্থাপন করা হয়।

তাঁরা তিনটি দলে ভাগ হয়ে কিডনি ক্রয় ও বিক্রয়ের কাজ করতেন বলে জানিয়েছে র‍্যাব। এভাবে শতাধিক ব্যক্তির কিডনি বিক্রি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব। এ জন্য চক্রটি রোগীদের কাছ থেকে নিত ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা। আর কিডনিদাতার সঙ্গে চার লাখ টাকার চুক্তি করলেও দিত মাত্র দুই লাখ।

অভিযানে ভুক্তভোগী কিডনিদাতাদের চারটি পাসপোর্ট, চিকিৎসার জন্য পাসপোর্ট এবং ভিসা–সম্পর্কিত কাগজপত্র, পাঁচটি মুঠোফোন এবং দেশি-বিদেশি মুদ্রা জব্দ করা হয় আজ দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানিয়েছেন সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আল মঈন বলেন, চক্রটি প্রায় ১০ বছর ধরে সক্রিয়। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও রোগী ও দাতা সংগ্রহ করে। এই চক্রে ১৫ থেকে ২০ জন সদস্য রয়েছেন। তাঁরা তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে কিডনি ক্রয়-বিক্রয়ের পুরো কাজ সম্পন্ন করেন।

একটি গ্রুপ ঢাকায় অবস্থান করে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কিডনি প্রয়োজন এমন বিত্তশালী রোগী খুঁজে বের করে। তারপর রোগীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে কিডনি সংগ্রহ করে দেওয়ার কথা বলে সম্পর্ক স্থাপন করে।

দ্বিতীয় গ্রুপটি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষ খুঁজে বের করে। তাঁদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অর্থের বিনিময়ে কিডনি বিক্রির জন্য প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় নিয়ে আসে।

তৃতীয় দলটি প্রলোভনের শিকার কিডনিদাতাদের বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগীর সঙ্গে রক্তের নমুনা মেলানোসহ বিভিন্ন পরীক্ষা–নিরীক্ষার কাজ করে।

খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, পরীক্ষায় কিডনি প্রতিস্থাপনের উপযুক্ততা নিশ্চিত হলে তৃতীয় দলটি ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে কিডনিদাতার পাসপোর্ট ও ভারতে ভিসার ব্যবস্থা করে।

পাশের দেশে অবস্থানকারী আরেকটি চক্র বাংলাদেশি চক্রের যোগসাজশে ভুক্তভোগী কিডনিদাতাকে বিমানবন্দর বা স্থলবন্দর থেকে নিজেদের জিম্মায় নিয়ে নেয়। তারপর বিভিন্ন হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে নির্ধারিত রোগীর জন্য কিডনি সংগ্রহ করা হয়। সব প্রক্রিয়া শেষে ভুক্তভোগীদের বৈধ বা অবৈধ উপায়ে দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

আইনি জটিলতা এড়াতে ভুক্তভোগীর পাসপোর্ট বা অন্য কাগজপত্র নিজেদের কাছে রেখে দেন চক্রের সদস্যরা। চক্রের প্রধান ইমরান ফেসবুকে ‘বাংলাদেশ কিডনি ও লিভার পেশেন্ট চিকিৎসাসেবা’ এবং ‘কিডনি লিভার চিকিৎসাসেবা’ নামে দুটি পেজের অ্যাডমিন।

৪ লাখের কথা বলে কিডনিদাতাদের দেওয়া হয় ২ লাখ টাকা সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, একটি কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য চক্রটি ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা নেয় রোগীদের কাছ থেকে।

আর কিডনিদাতার সঙ্গে চার লাখ টাকার চুক্তি করলেও দিত মাত্র দুই লাখ। এমনকি নির্ধারিত টাকা না দিয়ে তাঁদের ভয় দেখায়। একটি কিডনি প্রতিস্থাপনের পর চক্রের প্রধান ইমরান নেন ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

Comments are closed.

© All rights reserved  2020 Daily Surjodoy
Theme Customized BY CreativeNews