সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, এই খাত থেকে দেশে বার্ষিক আয় ৫০০ কোটি ডলার। দেশের ১৮ শতাংশ নারী এ পেশায় জড়িত। ৩ লাখেরও বেশি বিউটি পার্লারে উদ্যোক্তা ও কর্মী আছে ১০ লাখেরও বেশি। করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘায়ত হলে এই খাতের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী কর্মহীন হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তেমনি করে দিনাজপুর জেলার একজন বিউটি পার্লারের স্বত্বাধিকারী ও বিউটি এক্সপার্ট জানিয়েছেন তার অবস্থার কথা।
দিনাজপুরের স্বপ্ন বিউটি পার্লার এর Owner আফসানা সিদ্দিকা পিউলী বলেন আমরা অনেক টাকা ইনভেষ্ট করে এই ব্যাবসা শুরু করি। তার মধ্যে কিছু নারীর কর্মসংস্থান এর সুযোগ হয় কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা সকল নারী উদ্যোক্তারা খুব অসহায়ত্বর মাঝে ব্যাবসা পরিচালনা করে যাচ্ছি। দীর্ঘ তিন মাস বসে বসে স্টাফের বেতন, প্রতিষ্ঠান ভাড়া, কারেন্ট বিল দিয়ে আসছি। এখন বাধ্য হয়ে স্টাফ ছাটাই করা ছাড়া উপায় দেখছি না।
তিনি আরো বলেন, আমরা পার্লার মালিকরা ভালো নেই। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন ‘ঘর ভাড়া, পার্লার ভাড়া, স্টাফের বেতন, বাজার সব মিলিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর ১০ দিন এমন চললে ডাল-ভাত খাওয়ার উপায় থাকবে না। আমরা ত্রাণ বা এককালীন সাহায্য চাই না। আমাদের যদি এক বছর মেয়াদী লোনের ব্যবস্থা করে দেন তাহলে আমরা সেই লোন দিয়ে এই দুঃসময়ে জীবন পরিচালনা করতাম এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কাজ করে লোন পরিশোধ করব।
এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা চাই সরকারি খাতে পার্লার জগতের নাম যুক্ত হোক। আমরাও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রেখে আসছি, যা কখনোই সবার সামনে আসে না। আমরা এখন হতাশার সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছি, আমাদের দিকে একটু হাত বাড়িয়ে দিন। আমরা চাই সরকারিভাবে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে আমাদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হোক।
এই খাত ও এর সঙ্গে জড়িতদের রক্ষার্থে প্রধানমন্ত্রী কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন বলে প্রত্যাশা এই বিউটিশিয়ানের।