আমান উল্লাহ প্রতিবেদকঃ
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গত ১২ বছরে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজায় কোন ধরনের সহিংসতা বা সমস্যা হয়নি কিন্তু এবার পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এই অপকর্ম সৃষ্টি করেছে। যারা এই অপকর্মের সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। মন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা হিন্দুদের মন্দিরে হামলা করেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের শত্রু। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ধর্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে একটি মহল ধর্মের মূল চেতনা বিরোধী তৎপরতার মাধ্যমে বারবার সহিংসতার সুযোগ খুঁজছে। তাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন মন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন যাদের সহ্য হয় না তাদের গাত্রদাহ হওয়াই স্বাভাবিক। সরকার নাকি এসব তান্ডবে জড়িত, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চান, সরকার দেশে স্থিতিশীলতা চায়, সরকার কোন দুঃখে এসব করতে যাবে!
দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের মাধ্যমে অস্থিতিশীল তৈরির যে অপচেষ্টা হয়েছে বা হচ্ছে এবং এর পেছনে যারা মদদ দিচ্ছে, সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অপরাধী ও নেপথ্যের কুশীলবদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে কোন কোন জেলা থেকে তথ্য গোপন করে যারা বিতর্কিতদের নাম কেন্দ্রে পাঠাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে যারা দলে বা নির্বাচনে বঞ্চিত হচ্ছেন, তাদের হারানোর কিছু নেই, ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করলে শেখ হাসিনা তাদের ত্যাগের মূল্যায়ন করবেন।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যতক্ষণ নেতৃত্বে আছেন কারো শ্রম-ত্যাগ বৃথা যাবে না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাই সবাইকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। নির্বাচনে অভিযোগের পাহাড় বা স্তুপ জমা হয়ে আছে অথবা দফায় দফায় প্রার্থী পরিবর্তন করা হচ্ছে, এমন অভিযোগ মোটেই সত্য নয় জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রায় ৪০ টি অভিযোগ পাওয়া গেছে, তার ভিত্তিতে ১৫ টি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অভিযোগ করলেই যে সব সত্য, এমনটা মনে করার কিছু নেই। চেয়ারম্যান নিজের পক্ষে রাখতে গিয়ে বিতর্কিতদের নাম কেন্দ্রে না পাঠাতে আবারও স্মরণ করে করিয়ে দেন ওবায়দুল কাদের।
রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ জিল্লুর হাকিমের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেঃ কর্নেল (অবঃ) ফারুক খান, আবদুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য সানজিদা খানম,আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজি, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামিম ও ইকবাল হোসেন এবং রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলীসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।