ফারহানা বি হেনাঃ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বামীর ‘ব্যাকআপ’ হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন স্ত্রী। একই উপজেলায় ভাইয়ের ‘ব্যাকআপ’ হয়েছেন আরেক ভাই। উপজেলার তেলিখাল ও ইসলামপুর পূর্ব ইউনিয়ন নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তারা। নির্বাচনে প্রার্থী হলেও শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। ক্ষমতা ধরে রাখতে ‘সাপোর্টিং’ হিসেবে একে অপরের জন্য কাজ করবেন।
জানা গেছে, উপজেলার তেলিখাল ইউপি নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন টানা দুবারের চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল আদুদ আলফু মিয়া। একই ইউনিয়নে মনোনয়ন জমা দেন তার স্ত্রী সুলতানা আক্তার। এ ইউনিয়নে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন পাঁচজন। গত ইউপি নির্বাচনে কাজী আব্দুল আদুদ আলফু মিয়া ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন। এবারো তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে কাজী আবদুল আদুদ আলফু মিয়া বলেন, আমার স্ত্রীকে ব্যাকআপ হিসেবে প্রার্থী করিয়েছি। আমার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। গতবার জেলে থাকা অবস্থায়ও জয় পেয়েছি। মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে যদি আমার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায় সেজন্যই স্ত্রীকে ব্যাকআপ হিসেবে রেখেছি। আমার প্রার্থিতা টিকে গেলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেবেন স্ত্রী।
এদিকে, একই উপজেলার ইসলামপুর পূর্ব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে সাতজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন উপজেলার খায়েরগাঁও গ্রামের আপন দুই ভাই আলমগীর আলম ও মাসুক আহমদ। আলমগীর আলম উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুক আহমদ বলেন, ভাইয়ের ব্যাকআপ হিসেবে প্রার্থী হয়েছি। ভাইয়ের প্রার্থিতা টিকে গেলে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেব।