আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সাভারের আশুলিয়ায় ৫০০ টাকা চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এক পরিবহন শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া আরো একজন পলাতক।
সোমবার ভোরে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার এসআই সামিউল ইসলাম।
নিহত শিশু ফেরদৌস শেরপুর সদরের মুন্সিপাড়ার বাসচালক রইচ উদ্দিনের ছেলে। সে পরিবারের সঙ্গে আশুলিয়ার পল্লীবিদুৎ এলাকায় বসবাস করত এবং আশুলিয়া ক্লাসিক পরিবহনে শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। আটককৃত হৃদয় ও পলাতক মো. পারভেজ একই পরিবহনের শ্রমিক।
নিহতের বড় বোন রুবিনা বেগম বলেন, আমার বাবা আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের চালক। ছোট ভাই ফেরদৌস একটু চঞ্চল প্রকৃতির হওয়ায় তিনদিন আগে বাবা তাকে একই পরিবহনে কাজে পাঠান। সোমবার সকালে বাইপাইল রাস্তা থেকে আমার ভাইয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঐ বাসের আরো দুই শ্রমিক তাকে হত্যার পর লাশ সড়কে ফেলে রাখে। পরে তারাই নিজেদের বাঁচাতে পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত ১২টার দিকে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে আশুলিয়া ক্ল্যাসিক বাসটি বাইপাইল পৌঁছায়। পরে ফেরদৌস হৃদয় ও পারভেজ গাড়িতেউ ঘুমিয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ঘুম ভাঙলে হৃদয় জানায় তার পকেট থেকে ৫০০ টাকা খোয়া গেছে। শিশু ফেরদৌস জানায়- হৃদয়ের পকেট থেকে পারভেজ টাকা চুরি করেছে। এ নিয়ে পারভেজ ও হৃদয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে পারভেজকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন হৃদয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শিশু ফেরদৌসকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পারভেজ। পরে হৃদয়ের সহযোগিতায় ফেরদৌসের লাশ সড়কে ফেলে রেখে পুলিশকে খবর দেয় সে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এবং লাশের গায়ে দুর্ঘটনার কোনো চিহ্ন না পেয়ে আশুলিয়া থানায় জানায়। এরপর ভোরে শিশু ফেরদৌসের লাশ উদ্ধার ও হৃদয়কে আটক করে পুলিশ। পারভেজ পলাতক থাকায় তাকে ধরা সম্ভব হয়নি।
আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করা করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পলাতক পারভেজকে ধরতে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।