ওয়াকিল আহমেদ নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
রাজধানীর বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে সবজি ও মুরগির দাম বেড়েছে। তবে অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় তেল ও ডিমের দামও অপরিবর্তিত রয়েছে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরা আজমপুর কাঁচা বাজার, আশকোনার মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, মালিবাগ ও রামপুরা বাজার, সায়দাবাদ বাজার, কারওয়ান বাজর ও মিরপুর এলাকার কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, বেগুন (গোল) ৮০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৬০ টাকা, ফুল কপি প্রতি পিস ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, টমেটো ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা।
এছাড়া চায়না গাজর প্রতি কেজি ১৬০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, মুলা ৬০ টাকা ও পেঁপের কেজি ২০ টাকা।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে আলু ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ কেজি ৭০ টাকা। ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়।
উত্তরা আজমপুর কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী ইদ্রিস মিয়া বলেন, বাজারে সবজির আমদানি কম থাকায় দাম বেড়েছে। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা দাম বেড়েছে। সবজি বাজারের কোনো নিশ্চয়তা নেই। আগামীকাল তরকারির দাম কমতেও পারে।
এসব বাজারে গত সপ্তাহের দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি। চায়না আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। কাঁচা হলুদের কেজি ১৬০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ইন্ডিয়ান ডাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। দেশি ডাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।
এদিকে ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খুচরা ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায়। প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আটা ৩৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে ডিমের দাম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
তবে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৮০ টাকা। গত সপ্তাহের থেকে ১০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালি মুরগি। কেজি ৩৩০ টাকা। লেয়ার মুরগি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। কেজি ২৩০ টাকা।
১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. কাশেম মিয়া বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মুরগির দাম। মুরগির দাম বাড়ার কারণ নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না, আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যেই দাম কমবে।