
মিহিরুজ্জামান জেলা প্রতিনিধি সাতক্ষীরাঃ
সাতক্ষীরার লাবনী মোড় হতে পাকাপোল পর্যন্ত শহরের একমাত্র হাঁটার পথ (ফুটপাত) এখন ভ্রাম্যমাণ হকার ও স্থানীয় দোকান দারদের দখলে। এতে সড়কে সৃষ্টি হচ্ছে যানজট, ভোগান্তিতে পড়ছে পথচারীরা। প্রতিদিন ঘটছে ছোট ছোট দুর্ঘটনাও। সাতক্ষীরা শহরের ব্যস্ততম সড়কের ওপর বসা এই হকার ও দোকান দারদের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।লাবনী মোড় হতে পাকাপোল পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় ২০২০ সালের মার্চে। সাতক্ষীরা পৌরসভার বাস্তবায়নে ১৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গুরুত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৬৮ মিটার এই ফুটপাত নির্মাণ করা হয়। অভিযোগ রয়েছে ভ্রাম্যমাণ হকার ও স্থানীয় দোকানদারেরা পূনরায় অবৈধভাবে লাবনী মোড় হতে পাকাপোল পর্যন্ত শহরের একমাত্র ওয়াকওয়ে (ফুটপাত) তাদের দখলে রেখেছে।রাসেল রানা নামে এক পথচারী বলেন, সড়কে যানজট সৃষ্টি হলে ওয়াকওয়ে দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি, কিন্ত ওয়াকওয়েতে উঠে আমরা পথচারীরা চলাচল করতে পারি না। দোকানের মালামাল ওয়াকওয়েতে ঝোলানো থাকে। জিনিসপত্র ক্রয় করার জন্য এই দোকানদারদের ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকে ক্রেতারা। যে কারণে আরও বেশি জটলা সৃষ্টি হয়। তিনি আরও বলেন, মাঝে-মধ্যে সাতক্ষীরা পৌরসভা থেকে যদি এসব অবৈধ ফুটপাত দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে তাহলে পথচারীদের আর ভোগান্তীতে পড়তে হয় না।এদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আরও যানজট তৈরি হবে। নগরীর সৈান্দর্য কমে যাবে।এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান, এখানে যে সব হকার রয়েছে, এদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।পাশাপাশি যে দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ব্যবসা করবে, সে সব দোকানদারও নিয়মিত চাঁদা আদায় করছেন হকারদের কাছ থেকে।যে কারণে ফুটপতের হকার ব্যবসায়ীদের আনাগোনা একটু বেড়ে গেছে। এ কারণে অবৈধভাবে লাবনী মোড় হতে পাকাপোল পর্যন্ত শহরের একমাত্র ওয়াকওয়ে (ফুটপাত) তাদের দখলে রেখেছে।প্রশাসন যদি মাঝে-মধ্যে একটু নজরদারি করে তাহলে ফুটপাত এসব হকার ও দোকানদারদের দখলে যায় না।এ বিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশন সাতক্ষীরার সভাপতি এড.এস,এম শরিফ আজমীর হুসাইন রোকন বলেন, যে শহরে জনগণ আনন্দের সঙ্গে হাঁটতে পারে, সে শহর হচ্ছে একটি সভ্য শহর। শুধুমাত্র উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। ফুটপাত দখলমুক্ত করার পর ফের যাতে বেদখল না হয় সে জন্য নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে। মিলন নামে এক হকার বলেন, পেটের দায়ে হকারি করছি। প্রতিদিন কত টাকা দিয়ে এখানে ব্যবসা করি সব কথা বলা যাবে না। তাছাড়া ফ্রিতে তো কেউ ব্যবসা করতে দেবে নাএব্যাপারে পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতির ব্যবহারিত সেল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।পরবর্তীতে প্যানেল মেয়র-১ কাজী ফিরোজ হাসানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ফুটপাত দখলমুক্ত করার জন্য সাতক্ষীরা পৌরসভার পক্ষ থেকে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে,তবে দুই তিন মাস পরে পূনরায় দখল হয়ে যায়। দ্রুত এসব ফুটপাত দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply