ইদ্রিছআলী, দীঘিনালা প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ি দীঘিনালায় ৩য় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়ে নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। উপজেলার কবাখালী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনকে হারিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ভোটে নির্বাচিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ বারেককে দেওয়া হয়েছে নৌকার মনোনয়ন। যদিও মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অনুপ্রবেশকারী আখ্যা দিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলন করেছেন৷
বোয়ালখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মোঃ মোস্তফা। তিনি বোয়ালখালী সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
এদিকে বৃহত্তর মেরুং ইউনিয়নে তৃনমূল ও প্রার্থীদের সমর্থনে ১ নং সিরিয়ালে নাম থাকা বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ রহমান কবির রতনকে পেছনে পেলে ৪নং সিরিয়ালে নাম থাকা একমাত্র নারী প্রার্থী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম লাকী হয়েছেন মেরুং ইউনিয়নের নৌকার মাঝি। এ নিয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এবিষয়ে গত ২৮ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বেলা ১২টায় মেরুং ইউনিয়ন (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে মেরুং ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদা বেগম লাকীর বিরুদ্ধে এক অভিযোগপত্র দাখিল করেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ রহমান কবির রতন। অভিযোগপত্রে বলা হয় বিগত দুইবার ইউপি নির্বাচনে মেরুং ইউনিয়নের ১,২ও ৩ নং সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে সদস্য পদে নির্বাচন করে জামানত হারায় মাহমুদা বেগম লাকী। তাছাড়া তৃনমুল নেতাকর্মী ও প্রার্থীদের সর্বসম্মতিক্রমে ১নং সিরিয়ালে মোঃ রহমান কবির রতন’র নাম থাকলেও তাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি৷
সম্প্রতি দীঘিনালা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মোহাম্মদ কাশেম বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশনা মোতাবেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ভোটে ও সমর্থনে প্রার্থীদের তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে।
এ নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি৷
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে তৃনমূলের সিদ্ধান্তঃকে অধিক প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া নারী নেতৃত্ব বিকাশের লক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নারী প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। তবে যেসব প্রার্থীদের নিয়ে ইতোমধ্যে অভিযোগপত্র জমা হয়েছে তা আমরা খতিয়ে দেখবো।