আনোয়ার হোসেন আন্নু বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ঢাকার ধামরাইয়ে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীদের সাথে আচরণ বিধি ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সকল প্রার্থীদের আচরণ বিধি মেনে চলার কঠোর হুশিয়ারি দেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন এবং ধামরাই উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে রবিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৪ টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ শহীদুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোসাঃ নাজমা নাহার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মুনীর হোসাইন খান, ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান।
বক্তারা বলেন, নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রচার প্রচারনায় সকল প্রার্থী সমান অধিকার পাবেন। কোন প্রকার সভা সমিতি, মোটরসাইকেল শোডাউন, মিছিল করতে পারবেন না, জনগণের বাধা সৃষ্টি করে এমন জায়গায় পথসভা করতে পারবেন না। নিজের বাড়ি, গাড়িতে কোন প্রকার পোষ্টার লাগানো যাবে না। শুধু টাঙানো থাকবে। যন্ত্রচালিত কোন যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। ধর্মীয় কোন প্রতিষ্ঠানে প্রচারনা চালানো যাবে না। বিল বোর্ড, নতুন কোন প্রকল্প নেওয়া যাবে না।
বক্তারা আরো বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর ধামরাই পৌরসভার নির্বাচন শান্তি পূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি শব্দও হয় নি। কিন্তু এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২৭ তারিখে প্রতীক বরাদ্দের পর পরই বিভিন্ন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের আচরণ বিধি লঙ্ঘন করলে তার প্রার্থীতা বাতিল করা হবে। যারা আচরণ বিধি মেনে চলবে না তাদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার বলেন, যারা প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী আছেন তারা আচরণ বিধি মেনে চলবেন। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্মী সমর্থকরাও আচরণ বিধি মেনে চলতে হবে।
সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওলাদ হোসেন বলেন, বহিরাগত লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। হুমকি দিচ্ছে। আমরা যেন সুষ্ঠু ভাবে ভোট দিতে পারি। একই অভিযোগ করেন বাইশাকান্দা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী বি এম মাসুদ রানা বলেন, কি নিশ্চিয়তা আছে আমরা নির্বিগ্নে ভোট দিতে পারবো।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেন বলেন, প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগের। তিনি প্রার্থীদের আচরণ বিধি মেনে চলার কথা বলেন। যদি কারো এর ব্যত্যয় ঘটে আমরা কাউকে ছাড় দিবো না। আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন দিতে চাই।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার বলেন, কেউ যদি কোন প্রার্থীর কেন্দ্র ভাঙচুর করেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুন্দর পরিবেশে যেন নির্বাচন উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো। নির্বাচন কমিশন থেকে যে আচরণ বিধি দেওয়া হবে তা মেনে চলতে হবে। সামান্য ভুলের কারণে আপনার বিশাল ক্ষতি হতে পারে।ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়। তাই যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হবে।