ম্যাচ পাতনোর সঙ্গে জড়িত ক্লাব মালিক, খেলোয়াড় ও কোচসহ ৪৫ জনকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়া ম্যাচের ফলাফলকে প্রভাবিত করার সঙ্গে সম্পর্কিত আরো ১৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এফএফএ এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে ক্লাবগুলোর রাশিয়ান পাসপোর্টধারী মালিক, রাশিয়ান খেলোয়াড় ও কোচ ছাড়া ইউক্রেন, লাটভিয়া ও বেলারুশের ফুটবলাররা নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন। এফসি ভ্যানের সঙ্গে সমান পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় বিভাগে টেবিলের শীর্ষে থাকা থাকা
লোকোমোটিভ ইয়েরেভান, আরাগাটস, টরপেডো ইয়েরেভান ও মেসিসকে চ্যাম্পিয়নশীপ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন ম্যাচে ফলাফল ছিল সন্দেহজনক। ১২-০, ০-১২, ১-৮, ৯-২, ০-৭, ০-৮, ৮-২ ব্যবধানের ফলাফল নিয়ে সন্দেহ ওঠাটাই স্বাভাবিক।
আর্থিক ও টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে ২০১৯-২০ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগ থেকে ফেব্রুয়ারিতে নাম প্রত্যাহার করে নেয়া এফসি ইয়েরেভানকের ম্যাচ পাতানোর দায়ে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ সম্পর্কে এফএফএ সভাপতি আরমেন মেলিকবেকিয়ান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক সংস্থা ও আইন প্রনয়নকারী সংস্থার কাছ থেকে প্রাপ্ত প্রমান সাপেক্ষেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।
ডিসেম্বরে সভাপতি নির্বাচিত হবার পর এফএফএ নেতৃত্বে স্বচ্ছতা আনার চেষ্টা করেছেন মেলিকবেকিয়ান। দীর্ঘদিন ধরেই আর্মেনিয়ান ফুটবলে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ উত্থপিত হলেও কখনই প্রমানিত হয়নি। দেশটির গণমাধ্যমগুলোও এর বিরুদ্ধে বেশ সরব ছিল।