বেনাপোল যশোর :
দীপাবলির আলোয় অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজকে আলোকিত করতে দীর্ঘ ৭ বছর বন্ধ থাকার পর সম্প্রীতির বন্ধনে ২য় বারের মতো যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ২নং মাগুরা ইউনিয়নের কায়েমকোলা মিস্ত্রীপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরে অনুষ্ঠিত হলো ৩ দিন ব্যাপী কালী পূজা। প্রতি বছর কার্ত্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে পূজার কার্যক্রম শেষ করেছে বলে জানিয়েছে মন্দির কমিটি। দীর্ঘ ৭ বছর নিজেদের অন্তর কোন্দলে থেমে যায় কালী পূজা সহ সব ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনে কেউ এগিয়ে না আসলেও সম্প্রীতির আলোকবর্তিকা নিয়ে সামনে আসে মিস্ত্রীপাড়ার যুবকেরা। আলোচনা, সমালোচনা ও সকল বাধা পার করে নিজেদের লক্ষ্য ঠিক রেখে সকলকে এক কাতারে নিয়ে আসতে সফল হয় তারা। অবসান হয় দীর্ঘ ৭ বছরের মনোমালিন্যের। পূজা উৎযাপনের মন্দির কমিটির আয়োজকরা বলছেন, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ, ভালোবাসা ও ত্যাগের মাধ্যমে যে সমাজকে অনন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়া যায় তার উতকৃষ্ট উদাহরণ এটি। পরবর্তীতে এধরণের কার্যক্রম চলমান রাখতে সকল প্রকার ত্যাগ স্বীকারেও তারা প্রস্তুত থাকবেন। এমন খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তাদের কাজের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করতে ২ নং মাগুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, বাজারের ডিশ ব্যবসায়ী হাসেম আলী সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক ও স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়। কায়েমকোলা মিস্ত্রীপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দিরের সভাপতি রবিন্দ্র নাথ রায় বলেন, তরুনদের এমন কাজে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছি সারাক্ষণ। পূজার ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে আমরা সর্বদাই চেষ্টা করে যাবো।