নাদিম হোসেন খানঁ,(চরফ্যাশন-ভোলা)প্রতিনিধি :
বাংলাদেশের ৩,৪০৩.৪৮ বর্গ কিঃ মিঃ এলাকা জুরে একমাত্র ব দ্বীপ ভোলা জেলার নয়না বিরাম প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য চরফ্যাশন উপজেলার সাগর বেষ্টত দক্ষিন বাংলার স্বর্গরাজ্য চর কুকরি মুকরি।চর কুকরি-মুকরি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য বা চর কুকরি-মুকরি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য একটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল এবং বন্যপ্রাণের অভয়ারণ্য।
ভোলা শহর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার। বঙ্গোপসাগরের উপকন্ঠে মেঘনাও তেতুলিয়া নদীর মোহনায় কয়েকশ বছর আগে জেগে ওঠা চর কুকরি-মুকরিতে এই বনভূমির অবস্থান। এ বনে রয়েছে ১৫ হাজারেরও বেশি হরিণ। এ ছাড়া রয়েছে অতিথি পাখি, লাল কাঁকড়া, বুনো মহিষ, বানর, বনবিড়াল, উদবিড়াল, শেয়াল, বনমোরগ সহ নানা প্রজাতির বন্য প্রাণী।
মেঘনার বিশাল বুক থেকে বয়ে গিয়ে খালটি পড়েছে বঙ্গোপসাগরে। এখানকার ধু-ধু বালিয়াড়ির ওপর দাঁড়ালে সাগরের শোঁ শোঁ শব্দ ছাড়া আর কিছুই শোনা যাবে না। একটু সামনে এগোলেই ঢাল চর। এর পরই বঙ্গোপসাগর। এখানে উত্তাল ঢেউয়ের আছড়ে পড়া দেখলেই মনে পড়ে যাবে কক্সবাজার কিংবা কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের ও সুন্দরবনের কথা। স্থানীয় মানুষ এ স্পট টিকে বালুর ধুম নামে ডাকে। তবে কুকরি মুকরির প্রধান আকর্ষণ সাগর পাড়। এখানে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত কিংবা সূর্য ডোবার দৃশ্য ভ্রমণপিপাসুদের মুগ্ধ করবে। চর কুকরি মুকরির এ সৌন্দর্য খুব টানে পর্যটকদের।যাতায়াত ব্যবস্থা: সবচেয়ে সহজ উপায় হলো নদী পথে যাতায়াত করা। ঢাকার সদরঘাট থেকে এমভি তাসরিফ-৩/৪, কর্ণফুলী-১২/১৩, এবং ফারহান -৫/৬ করে বেতুয়া লঞ্চঘাট, সেখান থেকে অটোতে চলে যাবেন চর কচ্ছপিয়া ঘাট, সময় লাগবে মোটামুটি ৪০-৫০ মিনিট।
চর কচ্ছপিয়া ঘাট থেকে লোকাল ট্রলারে, তেতুলিয়া নদী পার হয়ে পৌঁছাবেন চর কুকরী মুকরী বাজারে।
প্রতিদিন সকাল ৯টা ও দুপুর ১২ টায় চর কুকরি মুকরির জন্য লোকাল ট্রলার ছেড়ে যায়, তাই লোকালে যেতে চাইলে সময়ের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। চাইলে রিসার্ভ ট্রলার নিতে পারেন ১০০০ কম বেশি টাকা নিবে যা আপনার ভ্রমণ খরচ বাড়িয়ে দিবে। তারপর পায়ে হেটে ঘুরে বেড়াবেন পুরো চরে, নয়নাভিরাম নারিকেল বাগান,তারুয়া বিচ, ওয়াচ টাওয়ার,সহ সবুজ বনাঞ্চল।
চর কুকরি মুকরি আবাসিক রিসোর্টের ব্যবস্থা আছে । এছাড়াও থাকার জন্য হোম স্টে সার্ভিস ও ইউনিয়ন পরিষদে মোঃ আনিচ হাওলাদার,সাহিন হাওলাদার, চেয়ারম্যান সাহেবের সেক্রেটারি মোঃ জাকির: ০১৭৯৯৬৬৯৪১ এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। জেলা পরিষদের সামনে আছে বিশাল ফাঁকা মাঠ আর পুকুর। বাজারের পাশেই এই ইউনিয়ন পরিষদ। এছাড়া বাজারে যে দুইটি খাবারের হোটেল আছে তাদের বললেও কোন বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দিবে ৷
কুকরি ইকো টুরিজম প্রজেক্ট এর পরিচালক, জনাব আবু ইব্রাহিম রাজিব সাহেবের সাথে আলাপ করলে জানান, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহিবল আর্থিক সহযোগিতায় জলবায়ু পরিবর্তন সহ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন,অনেক ট্ররিষ্ট আছে যারা এখনো প্রকৃতি রক্ষা করতে সচেতন নয়,তাই মুলত ইকো টুরিজমের প্রজেক্টের প্রধান কাজ হলো ট্ররিষ্ট গন যাতে পরিবেশের কোন ক্ষতিকর কাজ না করে তার প্রতিকারে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে বিভিন্ন প্রজেষ্ট পরিচালিত হয়,