রংপুর জেলা প্রতিনিধি:
ইউনিয়ন পরিষদ রনর্বাচনে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার কান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুই প্রার্থীর ব্যালট বাক্সে একটি ভোটও পড়েনি বিষয়টি নিয়ে এলাকায় দারুণ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে, অনেকের প্রশ্ন তার নিজের ভোট কই? প্রার্থীরা হলেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য খোকা মিয়া (মোরগ প্রতীক) এবং একই ওয়ার্ডের আরেক প্রার্থী দুলাল মিয়া (বৈদ্যুতিক পাখা)।
বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণ শেষে রাতে পীরগাছা উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণাকালে সাধারণ সদস্য প্রার্থী দুলাল মিয়া ও খোকা মিয়া কোনো ভোট পাননি বলে ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা এনামুল হক। ওই ওয়ার্ডে পাঁচজন প্রার্থী সাধারণ সদস্য পদে অংশগ্রহণ করেন। ফলাফলে দেখা যায়, আব্দুল জব্বার তোকদার (ফুটবল) ১০৩৯ ভোট পেয়ে জয়ী হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আশরাফুল ইসলাম (টিউবওয়েল) ৯৩১ ভোট পান।
ওই ওয়ার্ডের দাদন গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, বর্তমান ইউপি সদস্য ও নতুন এক প্রার্থী তাদের নিজের এবং এজেন্ট ও পরিবারের কারো কোনো ভোট পাননি। এটা নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে, কোনো ভোট না পাওয়া প্রার্থী খোকা মিয়া বলেন, ‘প্রতিপক্ষের এক প্রার্থীকে ঠেকানোর জন্য আমি নিজেই অন্য প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি। তবে আমার একজনও শুভাকাঙ্খী থাকবেনা তা ভাবিনি।
রিটার্নিং কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, নির্বাচনে যে কেউ প্রার্থী হতে পারেন। খোকা মিয়া ও দুলাল মিয়া কান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদে বৈধ প্রার্থী ছিলেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে তারা রাতারাতি অর্থের বিনিময়ে এই কারসাজি করেছেন।