এম হাবিব পেকুয়া প্রতিনিধি:-
ভুল ধরা নাকি বর্তমান সমাজে বেয়াদবি,ভুল ধরলেই আপনি বড় আকারের শত্রু,আপনাকে পাসানোর রাস্তায় কি ভাবে নিয়ে যাবে তা নিয়ে অস্থির হয়ে পড়বে সমাজের উচ্চবর্গের জন প্রতিনিধিত্ব কারি,এই সমাজে তাদের মূল্যায়ন করা হয়,যারা দোকানে বসে ডোনাল ট্রাম্প এর স্ত্রী থেকে শুরু করে কার বাড়িতে কি রান্না করেছে কার মেয়ে কি করলো কার বৌ কেমন।
তাদের নিজের দিকেই লক্ষ্য নেই,
ছোটবেলা থেকে আমাদের শেখানো হয়,বড়দের মুখে মুখে তর্ক করবা না’ বড়রা কখনোই ভুল করতে পারে না, ভুল বলতে পারে না,তাদের ভুল নিয়ে, তাদের কথার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেই ‘বেয়াদব’ ট্যাগ কপালে জুটে যায় !
স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে এমন অনেক শিক্ষক দেখেছি, যাদের ভুল ধরিয়ে দিলে তারা অফেন্ডেড হয়, অথচ তারাই পড়িয়েছেন,মানুষ মাত্রই ভুল’ তাহলে তারা কি মানুষ না? নাকি দেবতা।
ব্যবসা করতে গেলে বলা হয়, Customer is the king. কাস্টমার যা-ই বলবে, তা-ই মেনে নিতে হবে, নাহলে ব্যবসা টিকবে না,অফিসেও Boss is always right … বস যা বলবে তাই, বস কখনো ভুল বলে নাকি?না বস, একদমই না !
ভাইবোনের মধ্যে খুনসুটি হলে ভুল যারই হোক, শুনতে হয়,তুমি ছোট, তুমি Sorry বলো।
খুব ছোটবেলা থেকে এই শিক্ষা দিয়ে এবং নিয়ে যারা বড় হয়েছে, একদিন খুব ভুগতে হবে, লিখে রাখতে পারেন,এই ছোট ছোট ব্যাপার গুলোই একদিন অনেক বড় হয়ে আঘাত করবে সবাইকে, যে কথায় যুক্তি নেই, সে কথা যে-ই বলুক, তা অযৌক্তিক। যেটা ভুল, সেটা যে-ই করুক, সেটা ভুলই।
ভুল আর ঠিক এর জাস্টিফিকেশন কখনো বয়স দিয়ে করবেন না,অনেক সিনিয়র কেউ যদি ভুল করে ক্ষমা চায়, তাতে তার সম্মান চলে যায় না,উল্টো গোয়ার্তুমি আর ইগো ধরে রেখে ভুলকে জাস্টিফাই করলেই সম্মানটা আর থাকে না।
আমরা কেউ ভুলের উর্ধ্বে না,পরিবারের মানুষ থেকে শুরু করে আশ পাশের সবাইকে,ভুলকে ভুল আর ঠিককে ঠিক বলতে শেখান,সবাইকে ক্ষমা চাইতে শেখান,কেউ যৌক্তিক তর্ক করলে তাকে ‘বেয়াদব’ কিংবা, তুমি ছোট, ছোটর মত থাকো’ অথবা ‘তুমি ছোট, তাই মাফ চাও’ এই টাইপ ভয়াবহ আনফেয়ার কথা বলে থামিয়ে দেয়ার কালচার বন্ধ করেন, ভুল বা ঠিকের সাথে বয়স, পেশা, ক্ষমতা কিংবা অবস্থানের কোন সম্পর্ক নেই।
Leave a Reply