ইমরান শেখ বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ইউপি নির্বাচনে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১০টায় উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই তিন নেতার বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দীন মিয়া, গোহালা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্য নির্বাহী সদস্য শাহাদত হোসেন লিটন এবং কাশালিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও কাশালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরহাদ মল্লিক।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র এ্যাডভেকেট আতিকুর রহমান মিয়া, সিনিয়র সহসভাপতি আশরাফ আলী আশু, প্রচার সম্পাদক জাহিদুর রহমান, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হায়দার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম শিকদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের স্বাক্ষরিত পত্র আসে। নির্দেশনা অনুযায়ী চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়া এবং দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কর্মকাণ্ডের দায়ে ওই তিন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।
মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই তিন নেতাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ৪৭ (ঞ) ও ৪৭ (ঠ) ধারা মোতাবেক তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করে দলের সাধারণ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান বহিষ্কৃত তিন নেতার বহিষ্কারাদেশ চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদে পাঠানো হয়েছে।
বহিষ্কৃত মহারাজপুর ইউনিয়নের আ’লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী সালাউদ্দীন মিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে যাকে প্রার্থী করা হয়েছে তিনি যোগ্য নন। আমি প্রার্থী হওয়ায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এখতিয়ার নেই আমাকে বহিষ্কার করার।
এছাড়া সোস্যাল মিডিয়ায় অনেকে এই বহিষ্কার
আদেশের সমালোচনা করতেছে।অনেকে বলতেছে তারা ত্যাগী নেতা আর তারা যোগ্য হওয়া সত্বেও তাদের দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয় নি,তাই তারা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।