পাঁচ দফা দাবিতে সিলেটে সোমবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় কমিটি এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেধে দিয়ে স্মারকলিপি দেয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের বিভাগীয় কমিটির নেতারা। বেধে দেওয়া সময়ের মধ্যে পাঁচ দফা দাবি আদায় হয়নি। এ কারণে সোমবার সকাল ৬টা থেকে সিলেটে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে এ ধর্মঘটে পরীক্ষার্থীদের গাড়ি চলতে কোনো বাধা নেই।
পরিবহন শ্রমিকদের দাবিগুলো হচ্ছে- সিলেট জেলা অটোটেম্পু, অটোরিকশা চালক শ্রমিক জোট (রেজি নং: ২০৯৭) এর ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঘোষিত কমিটি বাতিল করা এবং মনোনয়ন ফি বাবদ আদায় করা টাকা ফেরত দেওয়া; সিলেটের আঞ্চলিক শ্রম দফতরের উপ-পরিচালককে প্রত্যাহার, সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি নং: বি-১৪১৮) নেতাদের ওপর দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার, ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের সব হয়রানি বন্ধ, মেয়াদোত্তীর্ণ শেরপুর, শেওলা, লামাকাজী, শাহপরাণ ও ফেঞ্চুগঞ্জ সেতু থেকে টোল আদায় বন্ধ এবং চৌহাট্টাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে সব ধরনের গাড়ি পার্কের ব্যবস্থা করা।
চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি নগরের চৌহাট্টায় অবৈধ মাইক্রোবাস স্ট্যান্ড উচ্ছেদ নিয়ে সিসিকের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই সংঘর্ষে সিসিক ও পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক মামলা দায়ের করা হয়। পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট ও কঠোর কর্মসূচির আল্টিমেটামের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে সিসিক মেয়রের একটি সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
ওই বৈঠকে পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সিসিকের পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।