জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী:চন্দনাইশ প্রতিনিধি:
দক্ষিণ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। গত ২৭ নভেম্বর শনিবার ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৫ জানুয়ারী’২২ ইং নিবার্চন অনুষ্টিত হবে। ইউনিয়ন ৮ টি হলো উপজেলার কাঞ্চনাবাদ, জোয়ারা,বরকল, বরমা,বৈলতলী, সাতবাড়ীয়া, হাশিমপুর, ধোপাছড়ি।এদিকে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা জানান,তফসিল ঘোষণার সাথে সাথে চেয়ারম্যান ও মেম্বার পদপ্রার্থীদের মাঝে দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেদের প্রার্থীতা প্রকাশ করছেন ব্যানার প্রদর্শন করে।প্রার্থীর সমর্থকরা বিভিন্ন মাধ্যমে নিজের পছন্দের প্রার্থীর প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন।এক কথায় ইউপি নিবার্চনের তফসিল ঘোষনার পর পর চন্দনাইশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ন স্থানে প্রার্থী এবং প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বাজার ঘাটে, পাড়া-মহল্লা,চায়ের দোকানের আড্ডায়, আলোচনা ও সমালোচনা কুশল বিনিময়,আপ্যায়ন অব্যাহত রয়েছে।
তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৭ ডিসেম্বর। এ ছাড়া ৯ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই,১০থেকে ১২ ডিসেম্বর বাছাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল দায়ের, ১৩,১৪ ডিসেম্বর আপিল নিষ্পত্তি হবে।এ ছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৫ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৭ ডিসেম্বর ও ভোটগ্রহণ ৫ জানুয়ারী’২২ অনুষ্ঠিত হবে ।
উল্লেখ্য যে,সীমানা জটিলতার কারণে ২০১১ সালের পর থেকে সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের নিবার্চন অনুষ্টিত হয়নি । দোহাজারীকে পৌরসভা ঘোষনার পর সাতবাড়িয়া থেকে ২টি ওয়ার্ড দোহাজারী পৌরসভায় অন্তর্ভূক্ত হয়।সে থেকে সীমানা নির্ধারণ করে ওয়ার্ড সংখ্যা ৯ না হওয়ায় নিবার্চন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তফসিলে সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের নাম আসলেও জেলা আ’লীগের প্রার্থী তালিকায় সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের তালিকা করা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম বলেছেন, দোহাজারী পৌরসভার সীমানা নির্ধারণের কাজ এগিয়ে চলছে।তবে সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড বিভাজনের কাজ শুরু হয়নি। নিবার্চন কমিশন যেহেতু তফসিল ঘোষনা করেছেন, সেহেতু সরকার যেভাবে চায়, সেভাবে নিবার্চন অনুষ্টিত হবে।