শহিদুল ইসলাম সোহেলঃ
টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মাছ ধরতে গিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে উপজেলার ভাবলা (এলেঙ্গা – যমুনা সেতু হাইওয়ে) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মধুপুর উপজেলার মহিষমারা গ্রামের কুদরত আলীর ছেলে ভ্যানচালক বাদল (৩০) এবং একই গ্রামের আশ্রয়ণ কেন্দ্রের বাসিন্দা সুরুজ আলী ওরফে গউজের ছেলের চা বিক্রেতা মানিক (২৮)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,মধুপুরের মহিষমারা গ্রামের পাঁচজন সিএনজি ভাড়া করে শখের বশে বিলে মাছ ধরতে যান।রাত নয়টার দিকে এলেঙ্গা সিএনজি রেখে চালকসহ ছয়জন রেল লাইনের পাশ দিয়ে হেটে রওনা করেন বিলের দিকে। তাদের মধ্যে বাদল ও মানিকসহ তিনজন রেললাইনের ওপর দিয়ে হাঁটছিলেন।এসময় পেছন থেকে হঠাৎ ট্রেন এসে বাদল ও মানিককে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।মানিকের মাথার পেছনের দিকে সামান্য আঘাতের চিহ্ন দেখা গেলেও বাদলের লাশ টুকরো টুকরো হয়ে থেতলে যায়।পরে অন্যান্য সঙ্গীরা মিলে নিহতদের মরদেহ গ্রামের বাড়ি নিয়ে যান।
নিহতদের সঙ্গে থাকা চানু মিয়া জানান,রাতে বাদল ও মানিকসহ তিনজন বিলের পাশের রেললাইনের উপর দিয়ে হাঁটছিল। এ সময় পেছন থেকে ট্রেন এসে বাদলকে আর মানিককে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। পরে নিহতদের মরদেহ এলাকায় নিয়ে আসি।
স্হানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল মোতালেব জানান,ঘটনাটি আমি শুনেছি।তাদের সাথে থাকা লোকজন বুধবার রাতেই দুইজনের মরদেহ বাড়ি নিয়ে এসেছে। মানিকের কয়েকদিন আগের ভূমিষ্ট শিশু সন্তান সহ তার স্ত্রী বাবা-মা রয়েছে।আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনো মরদেহ পাইনি।পরে জানতে পারি ঘটনার পরপরই নিহতদের সঙ্গে থাকা অন্যরা মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছেন।