এম হাবিব পেকুয়া প্রতিনিধি – :
আদর্শ মানুষকে কেউ পছন্দ করে না, আদর্শ মানুষ ডিসটিল্ড ওয়াটারের মত “স্বাদহীন” । সমাজ পছন্দ করে অনাদর্শ মানুষকে । যারা ডিস্টিল্ড ওয়াটার নয়, কোকাকোলা ও পেপসির মতো মিষ্টি কিন্তু ঝাঁঝালো ।
এখন পিতামাতারা গৌরব বোধ করেন যে, তাদের পুত্রটি গুন্ডা । বাসায় একটি নিজস্ব গুন্ডা থাকায় প্রতিবেশীরা তাদের সালাম দেয় । মুদিদোকাদার খুশী হয়ে বাকী দেয় । বাসার মেয়েরা নির্ভয়ে একলা পথে বের হতে পারে এবং বাসায় একটি মন্ত্রী পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।
জনপ্রিয়তা হচ্ছে নেমে যাওয়ার সিঁড়ি । অনেকেই আজকাল জনপ্রিয়তার পথে নেমে যাচ্ছে ।শিক্ষকের জীবনের থেকে চোর, চোরাচালানি, দারোগার জীবন অনেক আকর্ষণীয় । এ সমাজ শিক্ষক চায় না, চোর-চোরাচালানি-দারোগা চায় ।
প্রাক্তন বিদ্রোহীদের কবরে যখন স্মৃতিসৌধ মাথা তোলা।
নতুন বিদ্রোহীরা তখন কারাগারে ঢোকে, ফাঁসিকাঠে ঝোলে।একনায়কেরা এখন গণতন্ত্রের স্তব করে, পুজিপতিরা ব্যস্ত থাকে সমাজতন্ত্রের প্রশংসায় ।সৎ মানুষ মানেই নিঃসঙ্গ, আর সকলের আক্রমনের লক্ষ্যবস্তু ।
ধনীরা যে মানুষ হয় না, তার কারন ওরা কখনো নিজের অন্তরে যায় না । দুঃখ পেলে ওরা ব্যাংকক যায়, আনন্দে ওরা আমেরিকা যায় । কখনো ওরা নিজের অন্তরে যেতে পারে না , কেননা অন্তরে কোন বিমান যায় না ।নিন্দুকেরা পুরোপুরি অসৎ হতে পারে না, কিছুটা সততা তাঁদের পেশার জন্য অপরিহার্য । কিন্তু প্রশংসাকারীদের পেশার জন্য মিথ্যাচারই যথেস্ট ।
সংসারে সাধু-অসাধুর মধ্যে প্রবেদ এই যে, সাধুরা কপট আর অসাধুরা অকপট। ভালো মানুষের রাগ থাকে বেশী, যারা মিচকা শয়তান তারা রাগে না । পাছায় লাথি মারলেও লাথি খেয়ে হাসবে ।বাঙালি একশো ভাগ সৎ হবে, এমন আশা করা অন্যায় । পঞ্চাশ ভাগ সৎ হলেই বাঙালিকে পুরষ্কার দেয়া উচিৎ ।