জুয়েল খাঁন,সিলেট জেলা প্রতিনিধিঃ
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নির্যাতনে মারা যাওয়া যুবক রায়হান আহমদ হত্যা মামলার পলাতক আসামি কথিত সংবাদকর্মী আব্দুল্লাহ আল নোমানের মালপত্র ক্রোকের পরোয়ানা তামিল হয়নি। অন্যদিকে মামলার এক সাক্ষীর আত্মহত্যা ও আরেক সাক্ষীকে হুমকির অভিযোগ করেছেন নিহতের মা সালমা বেগম।
জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশকে পলাতক আসামি নোমানের মালপত্র ক্রোকের নির্দেশনা দেন আদালত। এ পরোয়ানা তামিল হয়ে রোববার আদালতে ফেরত আসার কথা ছিল। এ ঘটনায় সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন আদালত পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী আবুল ফজল চৌধুরী জানিয়েছেন, গতকাল আদালতে মালপত্র ক্রোকের পরোয়ানা তামিল হয়ে ফেরত আসার কথা ছিল। না আসায় আদালত আবার তারিখ নির্ধারণ করেছেন। নির্দিষ্ট তারিখে পরোয়ানা তামিল না হওয়ায় মামলার বিচারকাজে সময় ক্ষেপণ হচ্ছে।
এদিকে রোববার আদালত থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমের কাছে রায়হানের মা সালমা বেগম অভিযোগ করেছেন, সাক্ষী চুলাই লাল ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। আরেক সাক্ষী হাসানকে সাক্ষ্য না দিতে ‘হুমকি’ দেওয়া হচ্ছে। ১১ অক্টোবর রাতে ‘রায়হানকে কাষ্টঘরের চুলাই লালের ঘর থেকে সুস্থভাবে ধরে আনে পুলিশ। এই চুলাই লাল হলো প্রথম সাক্ষী। সে নাকি আত্মহত্যা করেছে। আরেক সাক্ষী হাসান ঘটনার দিন পুলিশর ফাঁড়ির পাশের কুদরতউল্লাহ মার্কেটের দোতলা থেকে রায়হানের কান্না শুনেছিল। সে আমাদের রায়হান মৃত্যুর খবরও দিয়েছিল। হাসান এখন ঢাকায় আছে। তাকেও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন সালমা বেগম। তবে কে বা কারা হুমকি দিচ্ছে- এমন বিষয়ে তা তিনি বলতে পারেননি। তিনি মনে করেন, আসামিরা জেলে থাকলেও তাদের পক্ষে কেউ হুমকি দিচ্ছে।
কাষ্টঘর সুইপার কলোনির বাসিন্দা চুলাই লাল গত ১ ডিসেম্বর আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
গত বছরের ১১ অক্টোবর নগরীর কাষ্টঘর এলাকা থেকে আখালিয়া নেহারিপাড়ার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে তুলে নিয়ে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করা হলে ওইদিন ভোরে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। ওইদিন পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে রায়হানের স্ত্রী মামলা করেন।