
কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারী প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক
কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় সম্প্রতি লাগাতার বৃষ্টির (Rain) পর গত কয়েকদিনের গরমে নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জীবনের পাশাপাশি শিশুরাও। তাপমাত্রার (Temparature) পারদ ক্রমশ বাড়ছে। আর তার জেরে দুর্ভোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষ, স্কুল পড়ুয়া, নিত্যযাত্রী, অফিসকর্মী সহ সকলকে। হাটে বাজারে ক্রেতা বিক্রেতার সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তেমন কেউ বাইরে বের হচ্ছেন না। ঘরে ঘরে বাড়ছে জ্বর সহ নানা রোগ। হাসপাতালে, চিকিৎসকের চেম্বারে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বাজারে ঠাণ্ডা পানীয়, ডাব, আনারসের বিক্রি বেড়েছে।
গত কয়েকদিনের গরমে জেলাজুড়ে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এই গরমে অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাবে কী না তা ভাবতে শুরু করেছে। গরম বাড়তে থাকায় স্কুলগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীর উপস্থিতির সংখ্যা কমবে বলে বিদ্যালয় ও অবিভাবক সূত্রে জানা গিয়েছে। গরমকে উপেক্ষা করেই ব্লকের বিভিন্ন এলাকার চাষিরা ধান লাগাতে সেচ চালু করে পানি দিচ্ছে জমিতে।পাট কাটতে, পাট পচাতে ব্যস্ত কিছু কৃষক।পাট পচাবে সেরকম পানিও পাচ্ছে না। তীব্র গরমের কারণে কিছুক্ষণ কাজ করেই হাপিয়ে যাচ্ছেন প্রত্যেকে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ যানবাহনে চলাচল করতে চাইছেন না।
ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের বটতলা মোড় এর বাসিন্দা কাজল,বাবলু ছাইফুর বলেছেন লাগাতার বৃষ্টির পর এরকম গরম আর সহ্য হচ্ছে না। এর চেয়ে বৃষ্টিই ভালো। এই গরমেও রান্নাও করতে হচ্ছে বাড়ির গিন্নিদের।
আইসক্রিম বিক্রেতা উপজেলার জামতলা মোড়ের জমজম সুইস দোকানদার গনেষ ও বিরেন জানায়, গরম বেশি পড়ায় আইসক্রিমের চাহিদা বেড়েছে তাই বিক্রিও ভালোই হচ্ছে।অনেক সময় কাস্টমার ফেরত যাচ্ছে আইসক্রিম না থাকায়।
কলেজ মোড়ের ফাস্ট ফুট দোকানদার কামরুল বলেছেন প্রচন্ড গরম পড়ায় কাস্টমার বেশী আসতেছে দোকানে। বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও অনেক আসতেছে লেবুর শরবত খেতে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জনাব আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম বলেন প্রচন্ড গরম হওয়ায় মানুষ ঠান্ডা জাতীয় পানি বেশী খাচ্ছে।খাওয়ার কারনেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে জ্বর ও ডায়রিয়াতে।এই দুই ধরনের রুগী বর্তমানে মেডিকেলে বেশী আসতেছে।
এ জাতীয় আরো খবর..
Leave a Reply