আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
সোমবার ভোরে সিরিয়া ও তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার ৮০০ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
তুরস্কে এখন পর্যন্ত এক হাজার ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা সংস্থার প্রধান ইউনুস সেজের। আর সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নিহতের সংখ্যা ৪০৩ বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় ৩৮০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী গ্রুপ ‘হোয়াইট হেলমেটস’৷
ভূমিকম্পের এপিসেন্টার বা ভূকম্পন বিন্দু ছিল তুরস্কের গাজিয়ানতেপ। স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে ভূমিকম্প শুরু হয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে।
গাজিয়ানতেপের বাসিন্দা এরদেম বলেন, ‘৪০ বছর ধরে এখানে বাস করছি। আজকের মতো এমন অনুভূতি কখনো হয়নি।’ কমপক্ষে তিনবার খুব ভালোভাবে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সিরিয়ায় ১৯৯৫ সালে জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র তৈরি হওয়ার পর এটিই দেশটিতে আঘাত করা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প বলে জানিয়েছেন ঐ কেন্দ্রের প্রধান রায়েদ আহমেদ
প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের প্রদেশগুলোতে বিপুলসংখ্যক ভবন ধ্বংস হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেছেন, হালনাগাদ পরিসংখ্যান অনুযায়ী দুই হাজার ৮০০টিরও বেশি ভবন ধসে পড়েছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আলেপ্পো ও হামা শহরের মধ্যাঞ্চলে কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে এবং দামেস্কেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। এ ছাড়া লেবানন ও সাইপ্রাসেও কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন তুরস্ক ও সিরিয়ার প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া সহায়তা করতে ইতিমধ্যে ইইউর দল রওনা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নিহতদের আত্মীয়-স্বজনের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। দুর্গত এলাকায় জার্মানি অবশ্যই সহায়তা পাঠাবে বলেও জানান তিনি।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেছেন, তুরস্ক ও সিরিয়ায় জরুরি সহায়তা পৌঁছাতে তার দেশ প্রস্তুত।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সিরিয়া ও তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে বার্তা পাঠিয়ে বলেছেন, তার দেশ সহায়তা করতে তৈরি আছে।
সূত্র : ডয়চে ভেলে