আসিফুজ্জামান সরাফত :
মোছলেম উদ্দিন দল ও দেশের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। চিরদিন তাঁকে জাতি স্মরণ করবে
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে আনা শোকপ্রস্তাবের ওপর আলোচনাকালে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
মোছলেম উদ্দিনকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও কিছুদিন আগে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তাকে সভাপতি করেছি। তবে আমারও একটি দ্বিধা ছিল তিনি বেঁচে থাকবেন কি না? কারণ, তার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। আমি প্রতিনিয়ত সেই খবরটি পাচ্ছিলাম। গতকালও খবর নেই। খুব খারাপের দিকে চলে যাচ্ছেন। শেষ পর্যন্ত তিনি আমাদের ছেড়ে চলেই গেলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার যারা চট্টগ্রামে প্রতিবাদ করেছিলেন মোছলেম উদ্দিন তাদের সাথেই ছিলেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন, খালেদা জিয়ার ভোট চুরির বিরুদ্ধে আন্দোলনসহ সব আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তার অবস্থান উপলব্ধি করেছি। সব সময় তাকে পাশে পেয়েছি।
আজ আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিনের মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। তার প্রতি সম্মান জানিয়ে সংসদে এক মিনিট নীরবতা পালন ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। পরে চলতি সংসদের এই এমপির মৃত্যুতে রেওয়াজ অনুযায়ী সংসদের বৈঠক মুলতবি করা হয়।
মোছলেম উদ্দিন আহমদ গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও শোক প্রস্তাবের ওপর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সামশুল হক চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এবং জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কাজী ফিরোজ রশীদ ও মসিউর রহমান রাঙ্গা বক্তব্য রাখেন।
চলতি সংসদে আওয়ামী লীগের ২১ জন সদস্যসহ ২৩ জন মারা গেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, মানুষ মরণশীল। একদিন সবাইকে চলে যেতে হবে। কর্মটাই মানুষ স্মরণ করে।