ব্যবসার বিষয়ে জানতে চাইলে রমি বলেন, আমার বরাবরই ইচ্ছে ছিলো বিজনেস করার।আসলে কিছু বিষয় আছে যা আপনাকে টানবে বিজনেসটা আসলে আমাকে এভাবেই টেনে নিয়ে গেছে। আর রাইসার প্রথম থেকে সাপোর্ট ছিলো, ওর আইডিয়াতেই শাড়ি নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই যখন দেখতাম বন্ধু-বান্ধবরা টিউশনি করাচ্ছে তখন আমারও ওদের মতো নিজের ইনকাম করার খুব ইচ্ছে জাগত এবং এটা হবে আমার একান্ত নিজের উদ্যোগে ভিন্ন কিছু।
রাইসা জানান, ব্যবসার শুরুতে অনেক প্রতিবন্ধকতা আসতে শুরু করে। সবকিছু ভালভাবে পরিচিত না থাকার কারণে শাড়ী কালেকশন এবং ডেলিভারি দিয়ে বিভিন্ন সমস্যা হতো। আশেপাশের অনেক লোকজনই শুরুতে অনেকে ঠাট্টা তামাশা করবো। কিন্তু পরবর্তীতে তারাই আবার বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়ার ব্যাপারে পরামর্শ নিতে আসে।
তিনি আরও জানান, বন্ধু বান্ধবী সব সময় তাদের পাশে থেকেছে। বিশেষ করে শিক্ষকরা সবসময় আমাদের সাপোর্ট করেছে। পাশাপাশি পরিবারের মানুষদের পূর্ণ সমর্থন পেয়েছি।
২০২১ সালের ১৭ই জুন বিয়ে হয় রমি-রাইসা দম্পতির। শুরুতে দুজনের পরিবার থেকেই কিছু প্রতিবন্ধকতা ছিলো। পরবর্তীতে তাদের দুজনের দৃঢ় মনোবল এবং দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের প্রেম পূর্ণতা পায়।
বর্তমানে অনলাইন ডেলিভারি ছাড়াও ক্যাম্পাসে তাদের একটি দোকান রয়েছে যেটা ২০২১ সালের মার্চে নেয়া হয়েছে। তখন লকডাউন থাকার কারনে ৭ নভেম্বর ২০২১ থেকে আমাদের আউটলেট ওপেন করা হয়েছে। ‘কাঠের পুতুল’ নামক দোকানটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেইট সংলগ্ন রাস্তার পাশে অবস্থিত। বর্তমানে অনলাইন এবং অফলাইন মিলিয়ে তাদের প্রতিমাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা মতো ইনকাম হয়। যার মধ্যে অনলাইনেই বেশি টাকা উপার্জিত হয়। আর বিভিন্ন উৎসব এর মৌসুমে এর পরিমান আরও বেড়ে যায়।
ভবিষ্যতে তারা ব্যবসাটাকে বিভাগীয় শহর ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ এ একটি আধুনিক আউটলেট চালু করতে চান। পাশাপাশি অনলাইন পেইজটাকে সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়ার ইচ্ছে রয়েছে রমি-রাইসা জুটির।