মোঃ মাসুদুর রহমান সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি :
নীলফামারীর সৈয়দপুর ড্রিম প্লাস কনভেনশন হলে ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিটে শহীদ ডাক্তার এম এ আজিজ নয়া মিয়ার সুযোগ্য সন্তান সুইডেন প্রবাসী সৈয়দপুরের কৃতি সন্তান বিশিষ্ট সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও লেখক জনাব দেলোয়ার হোসেন বাবলুকে সৈয়দপুর প্রজন্ম ৭১, সৈয়দপুর রক্তধারা ৭১,ও সৈয়দপুরবাসীর পক্ষ থেকে শহীদের সন্তানরা এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাগন এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
এ সময় শহীদ পরিবারের সন্তান সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন তার হাতে সংবর্ধনা ক্রেস্ট তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রজন্ম ৭১, শহীদ সন্তান মনাইমুল হক সহ-সভাপতি, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ। আরোও বক্তব্য দেন শহীদ পরিবারের সন্তান অধ্যাপক সাখাওয়াত হোসেন খোকন। রফিকুল ইসলাম বাবু, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সৈয়দপুর পৌর আওয়ামী লীগ। শহীদ পরিবারের সন্তান এ কে এম রাশেদুজ্জামান রাশেদ, সহ-সভাপতি, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ। শহীদ পরিবারের সন্তান বিশিষ্ট সাংবাদিক এম আর আলম ঝন্টু সরকারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দগণ।
“৭১-এ সন্তানহারা এক মায়ের আত্নহুতি মোর নয়া মিয়া আর ফিরি আসপে না বইটি সুইডেন প্রবাসী বিশিষ্ট সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও লেখক দেলোয়ার হোসেনের এই বইটি সম্পাদনা করেছেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, মুক্তি যুদ্ধের নয় মাসে সৈয়দপুরের প্রেক্ষাপট নিয়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন, পতাকা নকশার প্রেক্ষাপট,স্বাধীনতা পক্ষের বন্ধু ও স্বাধীনতার বিপক্ষের শত্রু তাদের নিয়ে বইটিতে অনেক ইতিহাস লেখা আছে। শহীদ ডা, এম এ আজিজ সরকার ওরফে নয়া মিয়ার ওপর নেমে আসে শত্রু পক্ষের পৈশাচিক আঘাত,১৯৭১সালের ২৭ শে মার্চ সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা গেটের সামনে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে তার লাশ পুড়িয়ে ফেলা হয় ইঞ্জিন বয়লারে, লাশ না পাওয়ার কারণে সন্তানের ফিরে আসার অপেক্ষায় তার মা স্বাধীনতার ১০টি বছর সন্তানের ফিরে আসার অপেক্ষায় পথের প্রান্তে চেয়েছিলেন। তারপর বুঝেছেন যে তার ছেলে আর ফিরে আসবে না। আশা নিয়ে বেঁচে থাকাটাই অর্থহীন এ নিয়েই দুর্ভাগ্য মা ও ছেলের এই গল্প,যার সাথে রয়েছে চার হাজারেরও অধিক নাম না জানা লাশের অলৌকিক ছায়া। এই বইটিতে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্থানীয় শহীদদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা উল্লেখ রয়েছে। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধের বইটি আগামী প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা যুদ্ধের বর্বর হত্যাকান্ডের ইতিহাস পরিস্ফুটিত করে তুলেছে।