মোঃশাহজাহান খন্দকার, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের রৌমারি উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র নামে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেনে এর দিক নির্দেশনা ও সহযোগিতায় রৌমারী উপজেলায় ‘জমি আছে ঘর নেই’ এমন অসহায় হতদরিদ্র পরিবারদের মাঝে পাকা ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন মন্ত্রী পুত্র মোঃ সাফায়াত বিন জাকির (সৌরভ)। তারই ধারাবাহিকতায় রবিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে রৌমারী সদর ইউনিয়নের নটান পাড়া গ্রামের মৃত ওমর আলীর ছেলে হতদরিদ্র মিছুরুদ্দিনের পাকা ঘর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান, রৌমারী প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা সরকার নুরুল ইসলাম, উপজেলা আ’লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রবিন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ ওই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর পুত্র সৌরভ বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার গরিব দুঃখী, অসহায় ও হতদরিদ্রদের সরকার। সুবিধা বঞ্চিতদের যেকোনো ভাবেই ঘরের দরজায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার সরকার। এই সরকার অসহায় মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনে অনন্য এক উদাহরণ। এছাড়াও তিনি গরিব দুঃখীদের জন্য অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন এবং দুঃখ মুছে দিতে অনেক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। প্রধান মন্ত্রীর পরিকল্পনার অংশ হিসাবে আমার পিতা প্রতি মন্ত্রী জাকির হোসেনের নির্দেশে আমাদের ব্যবসার লাভের অর্ধেক অংশ এই খাতে ব্যবহার করা হবে।
ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় খুশি হয়ে মিছুরুদ্দিন বলেন, আমি খুব গরিব মানুষ। এতজল্লা (অল্প একটু) জমি তাও কাগজ পত্রের ঝামেলা। মেলাদিন থাইকা ভাঙ্গা ঘরে থাহি। ঝড়ি (বৃষ্টি) আসলে গাও ভিঁজি যায়। সৌরভ আমার জমির ঝামেলা ঠিক করি পাকা ঘরের ব্যবস্থা করি দিছে। জাকির মন্ত্রী আর তার বেডা (ছেলে) সৌরভের জন্যে নামাজের সময় দুয়া করমু। আওয়ামী লীগ সরকার যিন (যেন) বারেবারে ক্ষেমতাত (ক্ষমতা) থাহে।
উপস্থিত নটানপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম নামের এক মুরুব্বি বলেন, আমাদের গ্রামের সব থেকে অসহায় কর্মক্ষম ও অসচ্ছল ব্যক্তি মিছু চাচা। মন্ত্রী পুত্র সৌরভ প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র উদ্যোগ “জমি আছে ঘর নেই” প্রকল্পের অংশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১৮ হাত ঘরের সঙ্গে সংযুক্ত পাকের ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছে। এমন অসহায় লোকটির দুঃখ দুর্দশা দেখে এই ঘর উপহার দেওয়ায় আমরা নটানপাড়া এলাকাবাসী কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি মন্ত্রী পুত্রকে ২৮ কুড়িগ্রাম-৪ এর আগামীর কর্ণধার হিসাবে দুয়া ও সমর্থন করি।
উল্লেখ্য যে এর আগে ৫ই ফেব্রয়ারী একই ইউনিয়নের কলেজ পাড়া এলাকার হতদরিদ্র শ্রী পরেশ চন্দ্র শীলের জন্য সংযুক্ত রান্না ঘরসহ একটি পাকা ঘরের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়।